• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

একে একে প্রকাশ পাচ্ছে কেয়ামতের যেসব আলামত

ইমরান মাহমুদ

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ৪ জুন ২০২৪

ফন্ট সাইজ

রাসুল (স) এর পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর প্রায় ১৪০০ বছর কেটে কেছে। ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি নিশ্চিত কেয়ামতের দিকে। আর ইতমধ্যেই একে একে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে কেয়ামতের বেশ কিছু আলামত।

কেয়ামত ঠিক কবে হতে যাচ্ছে তা শুধুমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন। তবে রাসুল (স) আমাদের কিছু আলামত বা নিদর্শনের কথা বলেছেন। এসব আলামতকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। বড় আলামত ও ছোট আলামত। বড় আলামত হচ্ছে ১০টা। আর যখন এই বড় আলামতগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করবে তখন থেকে তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ছোট আলামত গুলো দেখে যদি কেউ তওবা করে আর আল্লাহর পথে ফিরে আসে, তবে হয়ত আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিবেন। 

মহানবী (স.) বলেছেন কেয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছেন তিনি নিজে। অর্থাৎ মহানবী (স.) এর পৃথিবীতে আসাই ছিলো কেয়ামতের প্রথম আলামত। আবু হুরায়রা (র) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) তাঁর দুই আঙুল একসাথে করে বলেন, “এই আঙুল দুটো যেমন কাছাকাছি, আমাকেও কেয়ামতের ঠিক এমন কাছেই পাঠানো হয়েছে” [সহীহ বুখারী] রাসুল (স) হলেন শেষ নবী, তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না, সুতরাং এটাই স্বাভাবিক যে তাঁর পরেই কেয়ামত আসবে।

আরও একটা আলামতের কথা মহানবী (স.) বলেছেন, “কেয়ামতের আগে তোমরা দেখবে খালি পায়ের বেদুঈনরা একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করবে কে কত বড় ইমারত তৈরি করতে পারে।” [সহীহ মুসলিম] অর্থাৎ ৭০-১০০ বছর আগেও যে আরবরা প্রচন্ড অর্থ কষ্টে ছিলো তারাই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় দালান তৈরি করছে। শুধু যে দালান তৈরি করছে তা না, একে অন্যের সাথে তারা প্রতিযোগিতা করছে কে কত বড় দালান তৈরি করতে পারে। যার উদাহরণ দুবাইর বুরজ খলিফা।

আরও একটা ভবিষ্যৎবাণি করেছেন নবি করিম (স.) যে কেয়ামতের আগে মসজিদ হবে রাজ প্রাসাদের মত। যদিও মহানবী (স.) এর নির্দেশ ছিলো মসজিদ হবে সাধারণ। কিন্তু আজ আমাদের আশেপাশের মসজিদ গুলোর দিকে তাকালেই দেখা যাবে। মার্বেলের পাথর, দামি কার্পেট, ঝাড়বাতি কি নেই? একদম রাজ প্রাসাদের মত। কিন্তু তবুও এসব মসজিদ নামাজের সময় প্রায় খালিই থাকে।

মহানবী (স.) আরও বলেন, কেয়ামতের আগে হত্যা বেড়ে যাবে। এতটাই বাড়বে যে, যে হত্যা করছে সে জানবে না কেন হত্যা করছে আর যে নিহত হচ্ছে সেও জানবে না কেন নিহত হচ্ছে। আমাদের সমাজের বর্তমান চিত্র কি এটা নয়?

মহানবী (স.) আরও বলেন যে কেয়ামতের আগে সুদের ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতটাই বাড়বে যে কেউ এর ধুলা থেকে বের হতে পারবে না। আমাদের বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এখন পুরো নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যাংক। আর ব্যাংক চলে সুদের টাকা দিয়েই। অর্থাৎ বলাই যায় যে আমরা সবাই এখন সুদের জালে আচ্ছন্ন হয়ে আছি।

মহানবী (স.) বলেন যে কেয়ামতের আগে স্বাক্ষরতার হার বেড়ে যাবে কিন্তু মানুষের জ্ঞান কমে যাবে। অর্থাৎ মানুষ পড়তে পারবে, লিখতে পারবে কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান থাকবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শেষ সময়ে বক্তা বেড়ে যাবে কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী লোক কমে যাবে। অর্থাৎ এমন অনেক বক্তা থাকবে যাদের আসলে কোনো জ্ঞানই থাকবে না।

এমন ছোট-বড় আরও অনেক আলামত আছে যা মহানবী (স.) ১৪০০ বছর আগেই বলে গেছেন এবং তা আমরা এখন দেখছি। এই আলামতগুলো দেখলেই বুঝা যাবে যে আমরা কেয়ামতের কতো নিকটে চলে এসেছি। এখন হয়ত অপেক্ষা শুধু বড় আলামত গুলোর। যে কোনোদিন আগমন ঘটতে পারে ইমাম মাহদীর এর পর একে একে আসতে শুরু করবে দাজ্জালের, ইসা (আ.), ইয়াজুজ-মাজুজ, ৩ টি ভয়াবহ ভুমিকম্প, ধোঁয়া, আগ্নিকুন্ড, এক পশুর আগমণ আর পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়। এসব আলামত আসার আগেই আল্লাহ যেন আমাদের তওবা কবেল করে নেন।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2