• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

মাটির সবচেয়ে গভীরে মসজিদ, এ যেন বিশ্বের বিস্ময়

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ৮ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
মাটির সবচেয়ে গভীরে মসজিদ, এ যেন বিশ্বের বিস্ময়

মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তানের মাংগিস্তাউ অঞ্চলে, উস্টিউর্ট প্ল্যাটোরের ঢালে, খোদাই করা রকগুলোর ভিতরে অবস্থিত বেকেত-আতা ভূগর্ভস্থ মসজিদ এক রহস্যময় ও পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।

মসজিদটি ওগল্যান্ডি এলাকায় অবস্থিত। মাংগিস্তাউ অঞ্চলের কারাকিয়ান জেলার অন্তর্গত। অনেকে এটিকে খোদাই করা মসজিদ বলেও উল্লেখ করেন।
 
এই মসজিদ নির্মাণের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক কাহিনি স্থানীয়দের বিশ্বাস ও কিংবদন্তিতে আবৃত। বলা হয়ে থাকে, সুফি সাধক বেকেত আতা এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এখানেই জীবনের শেষ দিনগুলি কাটিয়েছেন। তিনি ১৮শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ইসলাম ও সুফি ধারার প্রচার করেছিলেন।

মসজিদটি পাথরের তৈরি, এবং চারটি পৃথক ভাগ বা কক্ষ নিয়ে গঠিত। একটি কক্ষে বেকেত আতার কবর রয়েছে। অন্য একটি কক্ষে নারীদের নামাজের ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটি কক্ষে বেকের আতার ব্যবহৃত অনেক জিনিস আসবাব রাখা হয়েছে ও একটি সাধারণ নামাজের স্থান। প্রত্যেক কক্ষের গম্ভীর শিলালিপি ও গড়ন স্থানীয় লোকদের কাছে উজ্জ্বল আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কেন্দ্র।

এই মসজিদ প্রধানভাবে পাহাড়ী ঢালা দিয়ে খোদাই করা হয়েছে। অধিকাংশ দর্শনার্থীকে নিচে নামার জন্য দীর্ঘ পথ ও সিঁড়ি পেরিয়ে যেতে হয়। এই নামাজ ঘরগুলোর ছাদ প্রায় ২.৭ থেকে ৩.৫ মিটার উচ্চতার মধ্যে।

বেকেত-আতা মসজিদের স্পিরিচুয়াল গুরুত্ব অনেক বেশ। বহু মুসলিম ধারণা করেন, এখানে ভ্রমণ করলে আধ্যাত্মিক শান্তি ও ইলাহি করুণা লাভ করা যায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস মসজিদে প্রবেশ ও প্রস্থানকালে পিছন-ফিরে বের হতে হবে।

মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি ছোট প্রাসাদ (guest house) ও পর্যটক সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও একটি বিশ্রামাগার ও মুসাফির খানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

১৯৬০ দশকে আর্কিয়োলজিস্টরা এই মসজিদ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৯৮২ সালে এটি কাজাখস্তানে একটি সংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে সরকার ও স্থানীয় সংস্থা periodically সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই মসজিদকে পৌঁছাতে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার পথ পার হতে হয় আকতাউ শহর থেকে। পথে মরুভূমি ও কাঁটাঘরী অংশ অতিক্রম করতে হয়, এবং ৪×৪ গাড়ি ছাড়া পৌঁছানো কঠিন।

বিশ্বজুড়ে যারা ধর্ম ও স্থাপত্যপ্রেমী তাদের কাছে এটি এক অনন্য আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত। বেকেত-আতা মসজিদ সময়ের স্রোত ও প্রকৃতির চাপ সত্ত্বেও টিকে আছে। প্রতিনিয়ত পর্যটকদের বিশ্বাস ও ভালোবাসায় এ ইতিহাস টিকে থাকবে যুগ থেকে যুগে। 

সূত্র: মস্কপিডিয়া

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2