• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

মেষ চরানোর সময় রেডিও শুনে শুনে হাফেজ হয়েছেন ফিলিস্তিনের সালামাহ

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২৮ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
মেষ চরানোর সময় রেডিও শুনে শুনে হাফেজ হয়েছেন ফিলিস্তিনের সালামাহ

৬০ বছরের ফিলিস্তিনি নাগরিক সালামাহ আলী। চরম অধ্যাবসায় আর চেষ্টার প্রতিফলে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হতে সক্ষম হয়েছেন। যিনি ফিলিস্তিনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের চারণভূমিতে মেষ চরাতেন। সেখানেই সাথে করে নিয়ে যেতেন একটি রেডিও।

মেষ চরানোর সময় মেষপালের প্রতি খেয়াল রাখার সাথে সাথে রেডিও চালু করে নিয়মিত শুনতেন কোরআন তেলাওয়াত। এভাবে মাত্র চার বছরে রেডিও শুনে শুনেই পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্থ করেন তিনি। ঘটনাটি ১৯৮৭ সালের। তবে সম্প্রতি কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরার বিশেষ ‌‘আল জাজিরা মুবাশিরে’ উঠে এসেছে।

গত ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল আলজাজিরা মুবাশিরকে নিজের অনুভূতি জানিয়ে হাজি সালামাহ আলী বলেন, ‘১৯৮৩ সালে নিয়মিত আমি রেডিওতে কারীদের তেলাওয়াত শোনা শুরু করি এবং আল্লাহর অনুগ্রহে মাত্র চার বছরের মধ্যে আমি কুরআনে কারিম হিফজ করতে সক্ষম হই। তখন আমাদের আশপাশে কোনো নিয়মতান্ত্রিক হিফজখানা কিংবা হিফজ শিক্ষক ছিলেন না। হাফেজ হওয়া ও তেলাওয়াত সুন্দর করা আমার একান্ত ব্যক্তিগত চেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে।

শুরুতে আমার তেলাওয়াত ততটা মানসম্মত ছিল না, তবে আমি শুধু পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেই শেষ করিনি; বরং কখন কোন কারী তেলাওয়াত করতেন তা-ও খেয়াল রাখতাম এবং নির্দিষ্ট সময়ে রেডিও ছেড়ে কুরআনে কারিম দেখে দেখে আয়াত মিলিয়ে ঠোঁট নাড়াতাম এবং পড়তাম। এভাবে মুখস্থ করার পাশাপাশি তেলাওয়াতও সুন্দর করেছি। আর তা করেছি চারণভূমিতে মেষ চরানোর সময়।

মেষ চরানোর জন্য আমি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল চষে বেড়াই, নানা প্রকৃতির ও সংস্কৃতির মানুষের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়, আমি তাদের সবাইকে কুরআন পড়তে উদ্বুদ্ধ করি। কেননা, কুরআন পড়ে কেউ বিফল হয় না। 

নিজের সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহার করে সাফল্য পেয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা করেছেন সালামাহ। তিনি বলেন, আলহামদু লিল্লাহ! আমি আমার সময়কে কাজে লাগিয়েছি এবং আল্লাহর অনুগ্রহে হাফেজ হয়েছি। 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: