কাতারে এসে বিদেশিদের হিজাব পরার হিড়িক, তুমুল প্রশংসা (ভিডিও)
মরুর বুকে ঝড় তুলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে প্রতিদিনই নতুন নতুন উন্মাদনায় মেতে উঠছে বিশ্ব। আরব সংস্কৃতি ঘিরে বিশ্ববাসী যেন একেবারে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি হিজাব, পাগড়ি আর পাঞ্জাবি নিয়েও বিদেশিরা বেশ অভিভূত।
বিশ্বকাপ দেখতে এসে জীবনের প্রথম হিজাব পরার অনুভূতি তৈরি হয়েছে নানা দেশ থেকে আসা অনেক দর্শকের। কাতারের দোহায় এসে আরব মুসলিম সংস্কৃতির অনুসরণে হিজাব পরছেন তারা। ভক্তদের হিজাব পরায় সহযোগিতা করছেন মুসলিম স্বেচ্ছাসেবকরা। হিজাব পরে ভক্তদের আনন্দঘন কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে ইসলামের পরিচিতি ও মুসলিম সংস্কৃতি তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে হিজাব পরার অভিজ্ঞতা হয় বিশ্বকাপ দেখতে আসা অনেক নারী ভক্তের। জীবনের প্রথম হিজাব পরার অভিজ্ঞতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
নারীদের কাছে হিজাবকে পরিচিত করার উদ্যোগে দায়িত্ব পালন করছেন তাসনিম নাফে। তিনি আলজাজিরা মুবাশিরকে জানান, ‘সব সংস্কৃতির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে অনেক নারী হিজাব পরার অভিজ্ঞতা হয়। তাদের অনেকে এবারই প্রথম হিজাব পরেছেন। ’ প্রথম দিকে এ উদ্যোগে অংশ নেওয়া নারীর সংখ্যা খুবই কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানান তিনি।
أفهم لو كان المنظمين لهذا العمل يقدمون تجربة لبس العباءة الخليجية، أو البرقع أو البطّولة باعتبارهم زي شعبي تراثي، أما استغلال الفعالية لعرض تجربة الحجاب على النساء فهو أمر سطحي سخيف.
— دلع المفتي? (@dalaaalmoufti) November 24, 2022
ثم لماذا لم يعرضوا على الرجال لبس ثوب قصير أو وضع قحفية مثلا؟ ?pic.twitter.com/aipeAyp1LW
এবারের ফিফা বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো উদ্বোধনী পর্বে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত পাঠ করা হয়। তাতে মার্কিন অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান ও কাতারি তরুণ গানিম আল-মিফতাহের সংলাপে দেওয়া হয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা। নানা দেশের ভক্ত ও দর্শকদের কাছে ইসলামের পরিচিতি ও মুসলিম সংস্কৃতি তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নেয় কাতারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরব ও ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারের অংশ হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন বইপত্র ও ঐতিহ্যবাহী কাহওয়া। তা ছাড়া ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম’ নামে ছয় ভাষায় একটি ই-বুক এবং আরবি ভাষা শিখতে ‘দ্য কুইক স্টার্ট গাইড টু স্পোকেন অ্যারাবিক’ নামে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় আরেকটি ই-বুক প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, স্টেশন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে রয়েছে এসব ই-বুকের কিউআর কোড। দোহার বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়েছে আরবি ও ইংরেজিতে মহানবী (সা.)-এর হাদিস-সংবলিত দেয়ালচিত্র।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: