• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১২ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

‘দেশের ২৭ জন সিনিয়র রাজনীতিবিদকে গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট দিল ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৩:৫২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
‘দেশের ২৭ জন সিনিয়র রাজনীতিবিদকে গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট দিল ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল

ইউএসএআইডি-এর স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের ২৭ জন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। 

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রামে বাংলাদেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা এই ফেলোশীপে অংশগ্রহণ করেন।

কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের সিনিয়র পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে উচ্চমানের এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে, এতে নেতাদের নিজ এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তরুণ রাজনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নে এই ফেলোশীপ সহায়তা করে থাকে।
 
এই গ্রাজুয়েশন কর্মসূচির ৮ম ক্লাসের গ্রাজুয়েশনকৃত ফেলোরা-২০২৩ সালের জুলাই থেকে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলসমুহের ভূমিকা, দলীয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট, ভোটদান প্রক্রিয়া এবং রাজনীতিতে নারীদের অন্তর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন।

গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সমাপনীতে অতিথি হিসেবে ছিলেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান এবং ইউএসএআইডি’র রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা লুবাইন চৌধুরী মাসুম। এসময় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অফ পার্টি ডানা এল. ওল্ডস সিনিয়র ফেলোদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
 
গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের আশা করি। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি কতই না ভালো হতে পারতো, যদি পরস্পরের মতকে আমরা শ্রদ্ধা করতাম ও পরস্পরকে শত্রু  হিসেবে না দেখে যদি শুধু প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতাম। 

তিনি আরও বলে, আমরা ভিন্নমত ধারণ করলেও, ভিন্নদল করলেও, আমাদের উদ্দেশ্য একই। জনগণ চূড়ান্ত নির্ধারক যে কোনটা মত সঠিক। এক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে কমন বিষয়গুলো নিয়ে একসাথে কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমাদের মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে যেই বিষয়গুলি আমাদের জন্য ক্ষতিকর তা একযোগে পরিহার করতে হবে। রাজনীতির সাথে অন্য পেশার তুলনা হয়না উল্লেখ করে তিনি ফেলোদের প্রতি নারী সহকর্মীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, অন্যান্য দলের চেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অধিক সংখ্যক নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।

মার্কিন জনগণের অর্থে ইউএসএআইডি পরিচালিত হয় জানিয়ে ইউএসএআইডি’র রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা লুবাইন চৌধুরী মাসুম বলেন, তরুণ নেতাদের ফেলোশীপ প্রোগ্রামের সাফল্যের পর ২০১৯ সাল থেকে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের জন্য ফেলোশীপ অনুষ্ঠান চালু করে। এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক সিনিয়র নেতারা এই গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

সিনিয়র ফেলোদের অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস বলেন, অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তাকে অনুপ্রানিত করেছে। এখান থেকে নেয়া শিক্ষা ফেলোদের নিজ নিজ এলাকায় তরুন নেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে যদি নেতৃত্বে সামান্যতমও গুণগত পরিবর্তন আসে, সেটাই আমাদের বড় অর্জন হবে।

গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা সমাপনী অনুষ্ঠানে তিন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়পুরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আজিজ ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান।

ইউএসএআইডি সম্পর্কে: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে আট’শ কোটি ডলারেরও বেশী উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ৭ কোটি ডলারের বেশি প্রদান করেছে। ২০২০ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ২০ কোটিরও বেশী ডলার প্রদান করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।  

বিভি/বিএন/এইচএস

মন্তব্য করুন: