• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আরামদায়ক ভ্রমণে রেলের সুনাম বিশ্বজোড়া, ব্যতিক্রম বাংলাদেশে (ভিডিও)

আহাম্মেদ সরোয়ার

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ২১:৩৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

ফন্ট সাইজ

সড়কপথে বেশি দুর্ঘটনার কারণে অনেকে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য বেছে নেন রেলপথকে। কিন্তু ট্রেন ধীরে ধীরে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। আরামদায়ক ভ্রমণে রেলের সুনাম, বিশ্ব জোড়া। বাংলাদেশে ব্যতিক্রম। দুর্ঘটনা, অব্যবস্থাপনাসহ ভাড়াও তুলনামূলক বেশি। 

দেশে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালে টঙ্গীর মাজুখানে। যেখানে ১৭০ জন নিহতের সঙ্গে আহত চার শতাধিক। এ ছাড়া মাঝেমধ্যেই ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা। এ ধারায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে ভৈরবে ১৭ জন নিহতের ঘটনা। 

বিষেশজ্ঞরা বলছেন, রেলেওয়েতে রক্ষণারক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন না হলে ঘটতেই থাকবে এ ধরনের দুর্ঘটনা।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে ভৈরব বাজার জংশনের আউটার সিগন্যালে যাত্রীবাহী এগারোসিন্ধুরকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কনটেইনারবাহী ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রেনটির দুটি বগি  এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৮। 

বাংলাদেশের রেলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি টঙ্গীতে।  

১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীর কাছে সেতু পার হওয়ার সময় কয়েকটি স্প্যান ভেঙে কয়েকটি বগি পড়ে যায় নিচে শুকনো জায়গায়।  নিহত হয় ৬০ যাত্রী। 

১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে আগুনে ২৭ জন যাত্রী নিহত হন। ১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারা পার্টির নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। এতে ২৫ যাত্রী নিহতের সঙ্গে আহত হন ৪৫ জন।

এর প্রায় নয় বছর পর হিলিতে ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী লোকাল ট্রেন ও সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন একই লাইনে ঢুকে পড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়। আহত  দুই শতাধিক।

২০১০ সালে নরসিংদীতে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মহানগর গোধূলি ও ঢাকাগামী চট্টলার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ইঞ্জিন দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নিহত হন চালকসহ ১২ জন। 

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৫ জন নিহত, আহত হয় অর্ধশতাধিক।

২০১৯ সালের ২৩ জুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে খালে। নিহতের সংখ্যা ৬। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হন।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাদীউজ্জামান জানান, অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও সেভাবে প্রযুক্তি আর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন না হওয়ায় রেল দুর্ঘটনা কমার পরিবর্তে বাড়ছে।  শুধু সঠিক পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নের অভাবে দিনে দিনে প্রাণঘাতি হয়ে উঠছে আরামদায়াক ভ্রমণের এই মাধ্যমটি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: