বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়াসিম খান

ওয়াসিম খান ও আফিস আকবর
৯০ দশকে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের দলবদল নিয়ে খুব উত্তেজনা কাজ করতো। ছিল সেরা দল গঠনের জন্য অন্য দলের প্লেয়ার বাগিয়ে নেয়ার টানটান প্রতিযোগীতা। আবাহনী মোহামেডান আর বাংলাদেশ বিমানে খেলতেন দেশের ফাইনেস্ট প্লেয়াররা। ৮৯ সালে ঢাকায় খেলতে এসে একজন ক্রিকেটপাগল সংগঠকের নাম জানলাম। যিনি তার সদ্য কেনা শখের স্পোর্টস কার’টির চাবি একজন প্লেয়ারকে দিয়ে দিয়েছেন বুকিং গিফট হিসেবে, বিনিময়ে সূর্যতরুন ক্লাবে খেলতে হবে।
তিনি ওয়াসিম খান।বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রিয় ওয়াসিম ভাই একজন নিবেদিতপ্রান সংগঠক। তিনি চাইলে বিসিবিতে অনেক ক্ষমতাশালী হতে পারতেন যে কোন সরকারের আমলেই, সে পথে হাঁটেননি। তিনি মিশে গেছেন ক্রিকেটারদের সাথে। বিশ্ব ক্রিকেটের রথী মহারথী থেকে শুরু করে আপকামিং ট্যালেন্টদের সাথেও তিনি সম্পৃক্ত। সব বিদেশী দলকে বাংলাদেশে রিসিভ করেন ওয়াসিম খানই। যতবারই মাঠে খেলা দেখি ততবারই উনার সাথে দেখা হয়ে যায়, পরিবারের খোঁজখবর নেন।
ফেইসবুকে লেখা আমার কোন পোস্ট উনার চোখ এড়িয়ে যায়না। ওয়াসিম ভাইয়ের স্মার্টনেস আমাকে সবসময় আকর্ষণ করে। সদালাপী হাসিখুশী মানুষটির সাথে দেখা হলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। শ্রীলংকায় খেলা দেখতে গেছি, স্টেডিয়ামের বাইরে দেখা হতেই উনার উৎকন্ঠিত প্রশ্ন- আসিফ তোমার কি টিকেট আছে, লাগবে ? ১৭ তারিখ জরুরী কাজে কলকাতা যাওয়ার সময় দেখি ওয়াসিম ভাই লাউঞ্জে বসা, তিনি নিউজিল্যান্ড টিমকে রিসিভ করতে গেছেন! চাইলে জীবনে অনেক কিছুই করতে পারতেন, শুধুমাত্র দেশের ক্রিকেটকে ভালবেসে মানুষটা মাঠের সাথে নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের হিডেন হিরো’জ দের সেরা একজন। শুধু মাঠের প্লেয়ারদের নয়, নেপথ্যের ত্যাগী মানুষদেরও আমাদের চেনা উচিত, সম্মান দেয়া উচিত। আপনাকে সসম্মানে স্যালুট জানাই ওয়াসিম ভাই। আপনার প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট কৃতজ্ঞঁ। অনেক ভাল থাকুন।
ভালবাসা অবিরাম…
মন্তব্য করুন: