বিশ্বকাপে বাদ পড়া নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন তামিম (ভিডিও)

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগ মুহূর্তে নিজের শারীরিক কন্ডিশন শতভাগ ফিট না বলে টিম ম্যানেজমেন্টকে অবহিত করেছিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে চাউর হয় বোর্ডকে তিনি বলেছেন যে পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না।
তামিমের এই প্রস্তাব খুব একটা ভালোভাবে নেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যে কারণে হেড কোচ হাথুরুসিংহেকে নিয়ে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে বসেছিলেন তিনি।
পরদিন দল ঘোষণার সময় তামিমকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু তামিমের দাবি নিজেকে আনফিট দাবি করলেও পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না এমন কথা তিনি বলেননি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
একই সঙ্গে বাঁহাতি এই ওপেনার জানান, দল ঘোষণার আগে পাওয়া ফিজিওর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বকাপে খেলতে তার কোনো বাধা ছিল না।
তামিম বলেন, ‘আমি কাউকে বলিনি যে পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। আমি জানি না কে এটা ছড়িয়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি যে জিনিসটা নির্বাচকদের বলেছিলাম যে, আমার শারীরিক অবস্থাটা এমন। পাঁচ ম্যাচ খেলব কি না এমন কিছু আমি বলিনি।’
গত সোমবার নির্বাচকদের কাছে তামিম তার শারীরিক অবস্থা জানান।
তামিম বলেন, ‘আমি নান্নু ভাইকে বলেছিলাম, দেখেন আমার শরীর এরকমই থাকবে। আপনারা যখন দল নির্বাচন করবেন এই জিনিসগুলো মাথায় রেখে দল নির্বচন করবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটা, ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল। ফিজিওর রিপোর্ট একদম যেটা ছিল বলি, রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রথম ম্যাচের পর এমন ব্যথা হয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচের পর এমন ব্যথা হয়েছে। আজকের দিনের হিসেবে সে ২৬ তারিখের ম্যাচের জন্য এভেইলেবল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু মেডিকেল বিভাগ মনে করে যদি আমি বিশ্রাম নেই, ২৭ তারিখ আমাদের ভ্রমণ ছিল। ২৯ তারিখ আমাদের একটা অনুশীলন ম্যাচ। ২ তারিখে আরেকটা। আমি যদি দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচ খেলি প্রথম ম্যাচের আগে তাহলে আমার পর্যাপ্ত সময় পাব। তাহলে আমার দুই সপ্তাহর পুনর্বাসন হয়ে যাবে, সব মিলিয়ে দশ সপ্তাহর হয়ে যাবে। এটাই রিপোর্টে আছে।’
তিনি বলেন, 'আমাকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে একজন ফোন করে বলেছেন, তুমিতো বিশ্বকাপ খেলতে যাবে, তবে তুমি আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেইলো না। আমি তখন বললাম আফগানিস্তানের সাথে খেলা হতে এখনও ১২-১৩দিন সময় বাকি আছে। আমি তখন পুরোপুরি ফিট হয়ে যাব। তখন আমি কেন খেলব না? তখন তিনি বললেন আচ্ছা, তুমি যদি বিশ্বকাপ খেলতে যাও তাহলে তোমাকে আমরা নিচের দিকে ব্যাটিং করাবো।'
'আমি চোট থেকে ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটা ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছি। এখন যদি বলা হয় নিচের দিকে খেলব এটা আমার জন্য মেনে নেয়া কঠিন ছিল। কারণ আমি ১৭ বছর ধরে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেছি। কখনও তিন বা চারেও ব্যাটিং করিনি। কিন্তু আমাকে বলা হলো নিচের দিকে ব্যাটিং করতে হবে। তখন আমি তার কথাটা ভালোভাবে নেইনি। সাম্প্রতিক সময়ে আমাকে অনেক বিষয়ে বাধ্য করা হয়েছে। তখন আমি ওনাকে বলেছি যদি নতুন এমন জিনিস ফেস করতে হয় তাহলে আমাকে বিশ্বকাপে পাঠাবেন না। আমি বলেছি এমন নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রয়োজনে আমাকে বিশ্বকাপে পাঠাবেন না।'
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: