• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ভারতকে নীল সাগরে ডুবিয়ে হেক্সা শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ২১:৫২, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২২:২৬, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ভারতকে নীল সাগরে ডুবিয়ে হেক্সা শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া

হেক্সা মিশনের ধাক্কা সম্পন্ন করলো অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুললো অজিরা। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম যেন নীল সাগরে রূপ নিয়েছিল। সেখানে হলুদের আভা ছড়িয়ে বিষাদের গল্পই উপহার দিলো ট্রেভিস হেডরা।

ঘরের মাঠ, শক্তিশালী দল, টানা জয়রথ- সবই ছিল ভারতের পক্ষে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন মাইটি অস্ট্রেলিয়া, তখন আপনার ভাবনায় ছেদ পড়বেই। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ ২০ বছর এসেছিল ভারতের সামনে। কিন্তু প্রতিশোধ তো নেয়া হলোই না, বরং মোদী স্টেডিয়ামে রচিত হলো বিষাদসিন্ধু। টানা ১০টি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেই জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই। তাদের কাছে হেরেই মুখ লুকালো কোহলিরা।

ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্য ৪২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে প্যাট কামিন্সের দল। বিশ্ব ক্রিকেটে আবারও নাম্বার ওয়ান হলো অস্ট্রেলিয়া।  টস জিতে কামিন্স আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, “টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ বোঝা গেল না। এই পিচে আগে ব্যাট করে নিলেই বোধ হয় সুবিধা হত।” কিন্তু ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে ভুল প্রমাণিত করলেন কামিন্স এবং অস্ট্রেলিয়ার বাকি বোলাররা।

২৪১ রানের লক্ষ্যও শুরুতে বিশাল মনে হয়েছিল অজিদের। কেননা ৪৭ রানেই এতে এতে সাজঘরে পৌঁছান ডেভিড ওয়ার্নার (৭), মিচেল মার্শ (১৫) ও স্টিভেন স্মিথ (৪)। কিন্তু তখনও ম্যাচের ভেলকি বাকি ছিল। রূপকথার প্রারম্ভিকা লিখছিলেন ট্রেভিস হেড ও মার্নাস লাবুশানে। ১৯২ রানের বিশাল এক জুটি গড়ে শিরোপা জয়ের নায়ক বনে যান দুজন।

ট্রেভিস হেড যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন, তখন জয়ের জন্য বাকি আর দুই রান। তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৩৭ রানের ইনিংস। ১২০ বলে ১৫ চার ও ৪টি ছয়ে শিরোপা জেতানো ইনিংস খেলেন হেড। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ১১০ বলে ৫৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন লাবুশানে।

এদিন জাসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি কিংবা মোহাম্মদ সিরাজদের বোলিংয়ের ধার কাজে আসেনি। জাদেজা বা কুলদ্বীপ যাদবের ঘূর্ণিও রাখতে পারেনি কোনো ভূমিকা। 

এর আগে রোহিত ক্রিজে নেমেই দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন তিনি। বড় শট খেলতে গিয়েই ৪৭ রানে আউট হন। ভারত অধিনায়ক আউট হতেই কেমন গুটিয়ে গেল ভারত। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে দশ ওভারের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল ভারত। কিন্তু বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলে সামনে নিয়ে গেছেন কিং কোহলি। আর তাকে সঙ্গ দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। এই জুটিতে ভর করে বেশ এগিয়েছে ভারত। তবে ৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি এই জুটি।

রাহুলের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়ে কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন কোহলি। তখন তার নামের পাশে ৬৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস জ্বলজ্বল করছিল। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ ওভারের মাথায় আউট হন গিল। 

তারপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি তাকে নিয়ে দারুণভাবে এগোচ্ছিল রোহিত। কিন্তু নিজের ফিফটির আগেই ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান ভারতীয় ক্যাপ্টেন। রোহিতের পরপরই ফিরে যান শ্রেয়াস।

পরে লোকেশ রাহুল দেখেশুনে খেলে ১০৭ বলে ৬৬ রানের ধৈর্য্যশীল একটি পরীক্ষিত ইনিংস খেলেন। কিন্তু বিদায় নেয়ার পর আর কেউই দলের ত্রাতা হতে পারেননি। সূর্যকুমার ১৮ ও কুলদ্বীপ যাদব ১০ রান করেন। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট দিয়ে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন। তবে ৫৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট মিচেল স্টার্ক। ৬০ রানে ২ উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2