স্পেনকে ভাসিয়ে নেশন্স কাপে চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল

স্পেনের ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিয়ে নেশন্স কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। মিউনিখে মহাকাব্যিক ফাইনালে দুবার পিছিয়ে পড়েও ২-২ গোলে সমতা এবং শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে ৫-৩ গোলে জিতে, প্রথম দল হিসেবে নেশন্স কাপে দ্বিতীয় শিরোপা জয় করলো পর্তুগাল।
২০১৯ সালে প্রথম নেশন্স কাপের শিরোপা জিতেছিলো পর্তুগাল। আর ২০২৩ এর চ্যাম্পিয়ন স্পেন। এই ফাইনাল ছিলো দুই দলের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এগিয়ে যাবার। অন্যদিকে, দলের বাইরে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর স্প্যানিশ সেনসেশান লামিনে ইয়ামাল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে পর্তুগালের কাছে স্পেনের এবং ৪০ বছর বয়সি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে পরাজিত ১৮ বছরের তরুণ তুর্কি লামিনে ইয়ামাল।
আক্রমন ও পাল্টা আক্রমনের দারুন এক ফাইনালে মার্তিন জুবিমেন্দি ২১ মিনিটে এগিয়ে দিয়েছিলেন আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। পর্তুগালের রক্ষণ ভাগের ভুলে ডি বক্সে অরক্ষিত জায়গায় বল পেয়ে গোল করেন জুবিমেন্দি । কিন্তু পাঁচ মিনিট পর পর্তুগিজরা সমতায় ফেরে নুনো মেন্দেজের দারুন ফিনিশিং-এ। পেনোল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে আড়াআড়ি ভাবে বক্সে ঢুকে দারুন দক্ষতায় ম্যাচে ১-১ সমতা আনেন নুনো মেন্দেজ।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্পেনকে আবার এগিয়ে দিয়েছিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। কিন্তু, ৬১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দারুণ ভলি সমতায় ফেরায় পর্তুগালকে। জাতীয় দলের রেকর্ড ১৩৮তম এবং ক্যারিয়ারে ৯৩৮তম গোল করে নিজেকে হাজার গোলের ল্যান্ডমার্কের দিকে আরো এগিয়ে নিলেন পাঁচবার ব্যালন ডিঅর জয়ী এই কিংবদন্তী।
৮৮ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রোনালদো। এরপর অতিরিক্ত সময়ে আর গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে পাঁচ শটেই গোল করে দারুণ দক্ষতা প্রদর্শণ করেছে পর্তুগাল। দলের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেছেন গনসালো রামোস, ভিতিনিয়া, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নুনো মেন্দেজ ও রুবেন নেভেস। স্পেনের হয়ে প্রথম তিন শটে গোল করেন মিকেল মেরিনো, অ্যালেক্স বায়েনা ও ইসকো। কিন্তু আলভারো মোরাতার নেওয়া চতুর্থ শটটি ফিরিয়ে দেন পর্তুগাল গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। এরপর রুবেন নেভেস পঞ্চম শটে গোল করে উৎসবে মাতিয়ে তোলেন পর্তুগালকে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: