৫ লাখ মানুষের দেশ কেপভার্দেও খেলবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ!

ছোট্ট দেশ কেপ ভার্দে। জনসংখ্যা মাত্র ৫ লাখের মতো। কিন্তু তার মধ্যে থেকেই গড়েছে ইতিহাস। ছোট এই দ্বীপদেশটি প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপে। যা ভারত-বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশের জন্য এখনো অধরা।
১৯৭৫ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর কেপ ভার্দে প্রথমবার বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াইয়ে নামে ২০০২ সালে। যদিও সফল হতে অপেক্ষা করতে হলো প্রায় ২৩ বছর।
এসওয়াতিনিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার পথে ‘ব্লু শার্কস’ নামে পরিচিত দলটি পেছনে ফেলেছে মহাদেশীয় পরাশক্তি ক্যামেরুনকে। রাজধানী প্রাইয়ায় যখন জয় নিশ্চিত হয় দেশটির, তখন ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় উল্লাসের বন্যা।
আটলান্টিক মহাসাগরে ১০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত কেপ ভার্দের জনসংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজারের কম। যা ঢাকা সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যার (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব) ২০২৩ সালে দুই সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা যেখানে আনুমানিক ১ কোটি ৩ লাখ।
জনসংখ্যার হিসাবে কেপ ভার্দে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাওয়া দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশও বটে। এর আগে আইসল্যান্ড ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।
আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চমক দেখিয়েছে কেপ ভার্দে। ২০১৩ সালে অভিষেকেই তারা খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে, পুনরায় সেই সাফল্য আসে ২০২৩ সালেও। বর্তমানে তারা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৭০তম।
কেপ ভার্দের বর্তমান দলে ইউরোপে শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা খেলোয়াড় নেই। বাছাইপর্বে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া ফরোয়ার্ড লিভ্রামেন্তো। তিনি খেলেন পর্তুগিজ লিগে ১৪তম স্থানে থাকা ক্লাব কাসা পিয়ায়।
এখন দ্বীপদেশটির মানুষ তাকিয়ে আছে ৪ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের ড্রয়ে, যেখানে জানতে পারবে কোন কোন বিশ্ব পরাশক্তির মুখোমুখি হবে তারা। কেপ ভার্দের আগে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে আলজেরিয়া, মিসর, মরক্কো, তিউনিসিয়া ও ঘানা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: