• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দুর্দান্ত জয় দিয়ে সুপার সিক্সে থামলো বাংলাদেশের মিশন

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২০:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
দুর্দান্ত জয় দিয়ে সুপার সিক্সে থামলো বাংলাদেশের মিশন

বারবার এভাবে উইকেটপ্রাপ্তির আনন্দে মেতে উঠেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কিশোরীরা। ছবি- আইসিসি

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে জয়ের ধারাবাহিকতা দেখালো বেশি দূর এগোতে পারলো না বাংলাদেশের কিশোরীরা। টানা তিন জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার সিক্সে ওঠা জুনিয়র টাইগ্রেসরা দ্বিতীয়পর্বের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুপার সিক্সের গ্রুপ-ওয়ান থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৬৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। রান রেটের ফাঁদে পড়ে থামতে হয়েছে বিশ্বকাপের মিশন থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৬৯ রান তোলে আরব আমিরাতের কিশোরীরা। জবাবে ৯.১ ওভার ব্যাটিং করে ৫টি উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে তরী নোঙর করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কিশোরীরা।

জুনিয়র টাইগ্রেসদের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত খাবি খেয়েছে আরবের মেয়েরা। মারুফা, রাবেয়া আর দীপার বোলিংয়ের সামনে নাকানি-চুবানি খেয়ে কোনো মনতে পঞ্চাশ পেরোনো স্কোর দাঁড় করায়। 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩২ এবং পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৫ রান আসে। ব্যক্তি স্কোরে লাভানি কেনি ৪৬ বলে ২৯ সর্বোচ্চ এবং মাহিকা গৌর ২৭ বলে ১৭ রান করেন। এছাড়া বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। 

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ছড়ি ঘোরান রাবেয়া খান। ৪ ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। আর মারুফা আক্তার ১৬ রানে নেন ২টি উইকেট। ১টি উইকেট নেওয়া দীপা ৩ ওভারে খরচা করেন মাত্র ৫ রান। এছাড়া রিয়া ও স্বর্ণাও একটি করে উইকেট লাভ করেন।

৭০ রানের ছোট্ট লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ রান হতে না হতেই ফিরে যান ওপেনার মিষ্টি সাহা। ১৯ রানের জুটি গড়ে দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার আফিয়া (১৫)। কোনো রান না করে সাজঘরের পথ ধরে দলের বিপদ বাড়ান সুমাইয়া (০)। তবে বিপদ থেকে রক্ষা করতে দারুণ জুটি গড়েন স্বর্ণা ও রাবেয়া।

৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে এনে দেন এ দুজন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে পরপর ফিরে যান স্বর্ণা ও রাবেয়া। ১৯ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৩৮ রান করেন স্বর্ণা। ১৪ রানে আউট হন রাবেয়া খান। শেষ জুটিতে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন উন্নতি ও দিশা। আরব আমিরাতের হয়ে ইন্ধুজা ও সামিয়ারা দুটি করে এবং মাহিকা গৌর একটি উইকেট নেন।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফ্রিকার কাছে হেরেছিল জুনিয়র টাইগ্রেসরা। আজকের ম্যাচে জয়ের পরও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি কিশোরীরা। কারণ আমিরাতকে ৪০ রানের আগেই অলআউট করতে পারলেই সেমির আশা বেঁচে থাকতো দিশা বিশ্বাসের দলের।  

আর বাংলাদেশ আগে ব্যাট করলে করতে হতো ২০০ রান এবং আমিরাতকে থামাতে হতো ৪০ রানে। অর্থাৎ জয়ের ব্যবধান হতে হতো ১৬০ রান। তাহলেই অজিদের পেছনে ফেলে প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে পারতো বাংলার বাঘিনীরা। 

আরও পড়ুন: 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: