এক ওভারেই ৩ উইকেট নিলেন তাসকিন

বৃষ্টি আইনের আয়ারল্যান্ডকে দেওয়া ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু পায় আয়ারল্যান্ড। তবে হাসান মাহমুদের ব্রেকথ্রুর পর নিজের প্রথম ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভার শেষে ৬০ উইকেট হারিয়ে রান করেছে আয়ারল্যান্ড।
আইরিশরা উদ্বোধনী জুটিতে ২.৪ ওভারে ৩২ রান তোলে। তবে হাসান মাহমুদের ইয়র্কারের জবাব দিতে পারেননি রস এডেয়ার। প্রথম তিনটি বলই ছিল স্লোয়ার, এডেয়ার মিস করে গেছেন সেগুলো। মিস করে গেছেন ইয়র্কারও। আয়ারল্যান্ড প্রথম উইকেট হারিয়েছে, তবে বাংলাদেশ পেয়েছে মূল্যবান চারটি ডট বলও।
হাসানের পর তাসকিন আহমেদেরে স্কেলমাপা ইয়র্কারে বোল্ড হন লরকান টাকার। ওভারের প্রথম বলেই সফল তাসকিন। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে যথাক্রমে পল স্টার্লিংকে (১৭) বোল্ড ও জর্জ ডকরেলকে শামীম হোসেনের ক্যাচে ফেরান এই ডানহাতি।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৯.২ ওভারে বৃষ্টি হানা দেয়। খেলা বন্ধ থাকে দীর্ঘসময়। বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করে। পরে বৃষ্টি না থামায় এই সংগ্রহেই বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি হয়। ডিএলএস পদ্ধতিতে আইরিশদের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছেন ৮ ওভারে ১০৪ রান।
সম্ভাবনা জাগলেও টাইগারদের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টির সংগ্রহ গড়া হলো না। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোর ২১৫ রান, শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০১৮ সালে। আগে ব্যাট করে এটি ২১১ রান, একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বৃষ্টির কারণে কোনোটিই ছাড়ানোর সুযোগ পেল না বাংলাদেশ। তবে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টির দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৯৬ রান।
আজ সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় মুখোমুখি হয় দুদল। টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা ঝড়ো শুরু পায়। দুই ওপেনার লিট কুমার দাস ও রনি তালুকদার মিলে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান তোলেন। তবে হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন লিটন। অষ্টম ওভারে ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন। ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ করেন লিটন।
দলীয় নবম ওভারে শতকের দেখা পায় বাংলাদেশ। এরপর টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটির দেখা পান রনি। মাত্র ২৪ বলে এই কীর্তি গড়েন তিনি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে হ্যারি টেক্টরের বলে স্টাম্পিং হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হওয়া রনি দারুণ ইনিংস খেলেই মাঠ ছাড়েন। এই ওপেনার ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৭ করেন।
ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফেরেন শামীম হোসেন। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে তুলে মেরে স্টার্লিংয়ের ক্যাচে পরিণত হন। ২০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি। এরপর ইয়ংয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ে তাওহিদ হৃদয়। ৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ৩টি চারে ২০ রানে ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পান ক্রেইগ ইয়ং।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), রস অ্যাডায়ার, লোরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডায়ার, ক্রেইগ ইয়ং, গ্রাহাম হিউম, বেন হোয়াইট।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: