উদ্বোধনী ম্যাচে দর্শকদের যে উপহার দিলো কাতার
ছবি: ব্যাগে থাকা উপহার সামগ্রী
পর্দা উঠেছে কাতার বিশ্বকাপের। কাতার আগেই জানিয়েছিল, ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় তারা। প্রায় ৬০ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আল-বাইত স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া প্রতিটি দর্শককে উপহার দিয়েছে কাতার। যা কাতারের ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় বিশ্বকে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) কাতার বনাম ইকুয়েডরের উদ্বোধনী ম্যাচে আল বাইত স্টেডিয়ামের প্রতিটি আসনে দর্শকদের জন্য রাখা হয় একটি করে গিফট ব্যাগ। যাতে আয়োজকদের তরফ থেকে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ছিলো বেশকিছু উপহার সামগ্রী। তাতে ছিলো এক বোতল ওউদ আতর (সুগন্ধি)।
ওউদ আতর
এক সমর্থক টুইটারে তার ব্যাগে পাওয়া উপহারের ছবি শেয়ার করেন। যাতে ছিলো- একটি ফুটবল, বোতল, পতাকা এবং একটি পিন ব্যাজ। আরেক দর্শক কিক-অফের আগে তার সিটের উপর রাখা ব্যাগের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখেন: ‘এই ফিফা বিশ্বকাপে, কাতার একটি চিরন্তন ছাপ রেখে যাবে।’
আরব বিশ্বে আয়োজিত প্রথম এ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নজর কেড়েছে ফুটবল বিশ্বের। ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয় এবারের আয়োজন।
গত কয়েক আসরের জনপ্রিয় থিম সংগুলোর পর মঞ্চ মাতান দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য জাংকুক। কাতার বিশ্বকাপের অফিশিয়াল গান ‘ড্রিমারস’ এ সুরের ঝড় তোলেন তিনি। জাংকুক যখন সুরের মূর্ছনায় ভক্তদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছিলেন সে সময় সে আনন্দ দ্বিগুণ করতে কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইবও পারফর্ম করে মঞ্চে। এ সময় জাংকুকের সঙ্গে গেয়েছেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল কুবাইশিও।
হলিউড কিংবদন্তি মরগান ফ্রিম্যান এর সঙ্গে মঞ্চে বসে গল্পে গল্পে কাতারের ঐহিত্য তুলে ধরেন ফিফার শুভেচ্ছাদূত ঘানিম আল মুফতাহ। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার মার্সেল দেশাই মঞ্চে বিশ্বকাপ ট্রফির উম্মোচন করেন। অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে ভাষণ দিয়ে ফুটবল বিশ্বকে দোহায় স্বাগতম জানান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
উল্লেখ্য, সেই ১৯৩০ সাল থেকে প্রতি চার বছর পর পর মাঠে গড়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। এ বছরের আগে পেরিয়ে গেছে ২১টি আসর। কিন্তু এবারের আসরটি একেবারেই ভিন্ন। বদলে গেছে ইতিহাস। খরচ কিংবা আধুনিকায়ন সব দিক থেকেই ২০২২ বিশ্বকাপ আলাদা। সূত্র: দ্য সান
আরও পড়ুন:
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: