সমুদ্রের শৈবাল দিয়ে স্যুপ উদ্ভাবন করলেন শেকৃবির গবেষক

সামুদ্রিক শৈবাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে স্যুপ। যা খেতে যেমন সুস্বাধু, আছে পুষ্টি এবং ঔষধি গুণও। মানব দেহের জন্য উপকারী এই স্যুপ উদ্ভাবন ও প্যাকেটজাত করেছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী। বিশ্ববিদ্যালয়টির নামের সঙ্গে মিলিয়ে যার নামকরণ করা হয়েছে এসএইউ সিউইড স্যুপ।
সিউইড বা সামুদ্রিক শৈবালকে একসময় লতাপাতা ভেবে অবজ্ঞা করা হলেও বর্তমানে পুরো বিশ্বে এটি সুপার ফুড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরাও এখন রোগীদের নিয়মিত সি উইড খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই কারণেই সিইউডকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে গবেষণাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। তেমনই এক গবেষণায় প্যাকেটজাত স্যুপটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানান এই গবেষক।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়টির একোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মূখ্য গবেষক মীর মোহাম্মদ আলী জানান, দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি সময় ধরে কক্সবাজারের সমুদ্রের সিইউড নিয়ে গবেষণা করে এই স্যুপ রেসিপি তৈরি করেছেন তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দল। প্রতি ১২.৫ গ্রাম স্যুপে তারা সিইউড রেখেছেন ২.৫ গ্রাম। ফলে এই সাড়ে ১২ গ্রাম স্যুপে প্রোটিনই থাকছে প্রায় ১০ গ্রাম।
সঠিক মেয়াদকাল নির্ধারণের জন্য উদ্ভাবিত স্যুপটি বর্তমানে বিসিএসআইআর এর ল্যাবে ৬ মাসের পরীক্ষাধীণ রয়েছে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে বলে জানান এই গবেষক।
বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন সিইউইড চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় বর্তমানে প্রায় ২০০ প্রজাতির সিউইড পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সমুদ্রের মাত্র ১০% এলাকা ব্যবহার করলে বছরে ৪০০ টন সিইউইড চাষ করা সম্ভব। যার অর্থনৈতিক মূল্য ৮৭৮ কোটি টাকা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: