গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ফেলো নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশের আহসান রনি
মিশন গ্রিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি বিশ্বের ১৭টি দেশের মধ্যে নির্বাচিত ৩৫ জন গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ফেলোর একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বের ৭ হাজর ৪০০ আবেদনকারীর মধ্যে থেকে বাছাই করে এই মর্যাদাপূর্ণ গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ফেলোশিপ ২০২৫ প্রদান করছে কানেক্টিং ড্রিমস ফাউন্ডেশন (সিডিএফ) ও গ্লোবাল চেঞ্জমেকার কালেকটিভ (জিসিসি)।
প্রতিযোগিতামূলক এ ফেলোশিপটি এমন তরুণ নেতাদের একত্রিত করছে যারা উদ্ভাবন, কমিউনিটি উদ্যোগ ও সামাজিক প্রভাবের মাধ্যমে বৈশ্বিক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে। নির্বাচিত ফেলোরা জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছেন, এবার সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজের মাধ্যমে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবেন।
এই ফেলোশিপের মাধ্যমে আহসান রনি অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, ক্রস-কালচারাল সহযোগিতা এবং গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট ল্যাবে, যার মাধ্যমে তিনি নতুন জ্ঞান, নেটওয়ার্ক এবং রিসোর্স ব্যবহার করে তার উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত ও টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, আহসান রনি একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত জলবায়ুকর্মী, তিনি এসডিজি ব্রান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড অন ক্লাইমেট এন্ড এনভায়রনমেন্ট এবং পিএমআই সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অফ দ্যা ইয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। তার নেতৃত্বে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে হাজার হাজার গাছ রোপণ, স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাসটেইনেবল উদ্যোগে সম্পৃক্তকরণ এবং সৃজনশীল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ক্যাম্প (নেপাল), এনভায়রনমেন্ট ইনোভেশন সামিট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস এবং বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি কনক্লেভসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ইভেন্ট আয়োজন করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি প্রকৃতির জন্য শিশুরা, গ্রিন ভলান্টিয়ার স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, ক্লিন ঢাকা ইনিশিয়েটিভ এবং উদ্ভাবনভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পরিচালনা করছে।
আহসান রনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ৭৪০০ আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ৩৫ জনের মধ্যে নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য এক বিশাল সম্মান। এই ফেলোশিপ শুধু আমার কাজের স্বীকৃতি নয় বরং বাংলাদেশের তরুণদের ক্রমবর্ধমান টেকসই উন্নয়ন আন্দোলনের প্রতিফলন।
তিনি আরও জানান, এই ফেলোশিপের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের তরুণ নেতা, গবেষক ও উদ্ভাবকদের সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নীতিমালা অভিযোজন করতে চান যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে সহায়ক হবে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: