খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের আগমন অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে

পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে পর্যটকের আগমন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি পর্যটন স্পট পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। জায়গা নেই হোটেল-মোটেলে। এতে দীর্ঘ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা। খুশি পর্যটক নির্ভর পরিবহণ ও হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বর। প্রতিদিন ভোর হলে শত শত পর্যটকের পদভারে মুখর হয়ে উঠে এই চত্বরটি। তারপর চলে যান গন্তব্যে। পর্যটকদের মতে, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ে পর্যটন স্পটগুলো অনেক আকর্ষণীয়। তবে সাজেক যাওয়া-আসার পথে খাগড়াছড়ি হচ্ছে পর্যটকদের মূল কেন্দ্র। অপর দিকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় খাগড়াছড়িতে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও খুশি।
পর্যটন মৌসুমে এমনিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকের সমাগম ঘটে। তবে চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের আগমন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, আলুটিলা গুহা, জেলা পরিষদ পার্ক ও রিছাং ঝর্ণাসহ সকল পর্যটন কেন্দ্র এখন পর্যটকে ঠাসা। রুপের রানী খ্যাত খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পর্টগুলো দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।
খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিকির সহ-সভাপতি স্বপন দেবনাথ, চলতি বছর খাগড়াছড়িতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসছে। এভাবে পর্যটকের ঢল অব্যাহত থাকলে তারা অতীতের সকল ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
খাগড়াছড়ি রেন্ট এ কার মালিক সমিতির সদস্য নুরুল আলম বলেন, পর্যটকদের আগমনে পরিবহন ব্যবসায়ীদের মাঝে আশার আলো জেগেছে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার সব গাড়ী বুকিং হয়ে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান,পর্যটকদের নিরাপত্তায় খাগড়াছড়ির প্রতিটি পর্যটন স্পর্টে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাজ করছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক মূলত সাজেক কেন্দ্রিক। ছুটির দিনগুলোতে কয়েকশ গাড়ি সাজেক যাতায়াত করছে। সাজেক আসা যাওয়ার ফাঁকে খাগড়াছড়ি স্পটগুলো ঘুরে যান পর্যটকরা।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, খাগড়াছড়ির আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াতে সহজ করার জন্য জেলা প্রশাসন বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।
এখন খাগড়াছড়ির পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সু-দিন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ি হবে ভ্রমণ পিপাসুদের বেড়ানোর উত্তম স্থান।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: