শেষ হয়েছে ‘আকিজ টেবলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং: সিজন ২’

প্লেটিং মায়েস্ট্রো খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে সফলভাবে শেষ হয়েছে ‘আকিজ টেবলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং: সিজন ২’। সম্প্রতি গ্র্যান্ড ফিনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এই আসর। এই সৃজনশীল শো খাবারের উপস্থাপনাকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়, শিখিয়েছে রান্নাঘরকে শিল্পের মঞ্চে পরিণত করতে।
‘আকিজ টেবলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং: সিজন ২’ এ ২৫ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে শীর্ষ ২০০ জন ফিজিক্যাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হন। সেখান থেকে মাত্র ৩০ জন প্লেটিং শিল্পী ‘প্লেটিং মায়েস্ট্রো’ খেতাবের জন্য লড়াই করেন। নিজের অসাধারণ প্লেটিং দক্ষতা দিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হিসেবে মোহাম্মদ গোলাম রাব্বি অর্জন করেন ‘প্লেটিং মায়েস্ট্রো’ খেতাব।
বিজয়ী পেয়েছেন ১০ লাখ টাকার নগদ পুরস্কার, একটি প্রফেশনাল প্লেটিং কোর্স, জাতীয় গণমাধ্যমে পরিচিতি এবং আকিজ টেবলওয়্যারের এক্সক্লুসিভ ডিনার সেট।
গ্র্যান্ড ফিনালের অন্য প্রতিযোগীরাও দেখিয়েছেন তাদের অসাধারণ প্লেটিং দক্ষতা। ইফফাত জেরিন সরকার ‘প্লেটিং আইকন’ (প্রথম রানার-আপ) হিসেবে জিতেছেন ৫ লাখ টাকা। ডা. রওজাতুল রুম্মান ‘প্লেটিং ম্যাভেরিক’ (দ্বিতীয় রানার-আপ) হিসেবে পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। হুমায়ুন কবির এবং নওশিন মুবাশশিরা রোদেলা ‘প্লেটিং মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে (যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম) প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। নগদ পুরস্কারের পাশাপাশি সকল বিজয়ী পেয়েছেন প্রফেশনাল প্লেটিং কোর্স, জাতীয় গণমাধ্যমে পরিচিতি এবং আকিজ টেবলওয়্যারের এক্সক্লুসিভ ডিনার সেট।
বাংলাভিশন, আরটিভি, দীপ্ত টেলিভিশন এবং চরকিতে সম্প্রচারিত এই শো সারা দেশের দর্শকদের মুগ্ধ করেছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য মেলবন্ধনে। প্রতিযোগীরা দেশি-বিদেশি খাবারকে রূপ দিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন ও অতুলনীয় শিল্পকর্মে, যা মূল্যায়িত হয়েছে নান্দনিকতা, কারিগরি দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক গভীরতার ভিত্তিতে।
অসাধারণ প্লেটিং শিল্পীদের প্রতিভা দেখে, আকিজ টেবলওয়্যার খুব শীঘ্রই সিজন ৩ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যেখানে থাকবে আরও বড় মঞ্চ এবং আরও দক্ষ ও প্রতিভাবান প্লেটিং শিল্পীরা, যারা লড়াই করবেন পরবর্তী ‘প্লেটিং মায়েস্ট্রো’ খেতাবের জন্য।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: