• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আটকের পর শহিদুল আলম এখন কোথায়? সর্বশেষ যা জানা গেলো

প্রকাশিত: ১২:০৯, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
আটকের পর শহিদুল আলম এখন কোথায়? সর্বশেষ যা জানা গেলো

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র পর এবার গাজার পথে ইসরাইলের নৌ অবরোধ ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলাও। এর সবকটি জাহাজ আটক করে ফেলেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এসব জাহাজে থাকা শতাধিক অধিকারকর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসরাইলের আশদোদ বন্দরে। এই অধিকারকর্মীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমও।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমাতে আটকে দেওয়া হয় ফ্লোটিলার ৮টি জাহাজ। সেইসঙ্গে দেড়শো স্বেচ্ছাসেবীকে আটক করে ইসরাইলি নৌবাহিনী। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছেন। দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। 

এই নৌবহরের ‘কনশানস’ নামের একটি জাহাজে ছিলেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রি ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। বর্তমানে আটক অবস্থায় অন্যান্য অধিকারকর্মীদের সঙ্গে ইসরাইলে আছেন তিনি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) আয়োজিত ৯ জাহাজের বহরটি দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। একটি বড় জাহাজে প্রায় ১০০ জন এবং বাকি আটটি ছোট নৌযানে আরও ৫০ জন কর্মী ছিলেন। আয়োজকদের দাবি, অন্তত দুইজন ইসরাইলি নাগরিকও ছিলেন এই নৌবহরে।

বুধবার ভোরে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি নৌবাহিনীর বিশেষ ইউনিট শায়েতেত ১৩ এবং অন্যান্য বাহিনী দ্রুত অভিযান চালিয়ে নয়টি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ‘কনশানস’ নামের ৬৮ মিটার দীর্ঘ যাত্রীবাহী জাহাজে নামার জন্য কমান্ডোরা হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে নামেন।

ফ্লোটিলা সংগঠকরা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, আমাদের জাহাজে ইসরাইলি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে এবং আমাদের অন্য আটটি নৌযানও অবৈধভাবে আটক ও ছিনতাই করা হয়েছে।

এফএফসি তখন জানায়, তাদের অভিযানে অংশ নেওয়া মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের আটক করে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তাদের দাবি, নৌবহরটি ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, রেসপিরেটরি সরঞ্জাম ও পুষ্টি সহায়তা বহন করছিল, যা গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য পাঠানো হচ্ছিল।

এদিকে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই হামলা ও ছিনতাইকে ‘সমুদ্র ডাকাতির শামিল এবং আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দেয়।

তুরস্ক জানায়, নৌবহরে তুর্কি নাগরিক ও সংসদ সদস্যরাও ছিলেন। দেশটি বলেছে, গণহত্যাকারী ইসরাইলি সরকার শান্তিপূর্ণ উদ্যোগগুলোকেও আক্রমণ করছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, গত দুই বছরে হিটলারের চেয়েও ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল।

এর আগের সপ্তাহে গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪০টিরও বেশি নৌকা আটক করে ইসরাইল, যাতে ৪৫০ জনেরও বেশি অধিকারকর্মী ছিলেন।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরাইল 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2