ইউরোপে অভিবাসন: ডয়চে ভেলে ও বাংলাভিশনের যৌথ আয়োজন ‘দেশ পেরিয়ে’

ডয়চে ভেলে ও বাংলাভিশনের যৌথ প্রযোজনায় আসছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘দেশ পেরিয়ে’। ইউরোপে অভিবাসন বিষয়ে এটি আমাদের নতুন আয়োজন। মোট পাঁচটি পর্বে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। আগামীকাল (১০ অক্টোবর) থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রচারিত হবে বাংলাভিশনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
প্রথমপর্ব প্রচারিত হবে ১০ অক্টোবর, দ্বিতীয় পর্ব ১১ অক্টোবর, তৃতীয় পর্ব ১৭ অক্টোবর, চতুর্থ পর্ব ১৮ অক্টোবর এবং ২৪ অক্টোবর প্রচারিত হবে শেষ পর্ব। সবগুলো পর্বই প্রচারিত হবে রাত নয়টায়।
প্রথম পর্বের বিষয়: ‘ইউরোপিয়ানড্রিম’। তাদের অনেকের কাছে ইউরোপ যেন একটি স্বপ্নের গন্তব্য৷ কিন্তু সেখানে পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই এমন সব পথ বেছে নেন যার মূল্য শুধু অর্থ নয়, কখনো কখনো দিতে হয় জীবন দিয়ে৷ আমরা খুঁজে বের করতে চাই এর কারণ৷ দেখতে চাই এই অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সমস্যাগুলো কোথায় কোথায় লুকিয়ে আছে৷ চাই এসব সমস্যার সমাধান।
শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নলতা গ্রাম। নলতা গ্রাম থেকে এবার আমরা যাবো ইউরোপের দেশ স্পেনে৷ সেখানে অনিয়মিত পথে যাওয়া দুই প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের দুঃসহ যাত্রার গল্প শুনিয়েছেন। যে গল্পগুলো আমাদের অনেকেরই অজানা।
দ্বিতীয়পর্বের বিষয়: ইউরোপেরশ্রমবাজার। জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপের শ্রমবাজারে বাংলদেশিদের অংশগ্রহণ আছে৷ কিন্তু তা যথেষ্ট নয়৷ তারওপর সঠিক পথে নিয়ম মেনে কতজন যাচ্ছেন সেখানে? ইউরোপের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশের সুযোগ বিষয়ে আমরা আরো আলোচনা করেছি।
তৃতীয়পর্বের বিষয়: অভিবাসনের নানা চ্যালেঞ্জ। বিদেশ যাবার ক্ষেত্রে বাধা বা চ্যালেঞ্জ একেবারে শুরু থেকে৷ কোন দেশে যেতে হবে, কতটাকা লাগবে, কী যোগ্যতা থাকতে হবে, কী কাগজপত্র লাগবে এসবের সঠিক ও পরিষ্কার তথ্য নেই সাধারণ মানুষের কাছে৷ কোথায় গেলে এমন তথ্য পাওয়া যায় তাও ভালো জানেন না তারা৷ তাই ভরসা দালালরা৷ সেখানেই প্রতারিত হতে হয় তাদের৷ কিন্তু তা থেকে বের হবার উপায় কী? তাই খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
চতুর্থপর্বের বিষয়: ইউরোপে পৌঁছানো পরবর্তী জটিলতা ও করণীয়। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফারলেটার যোগাড় করেন অনেকে। তারপরও অনেক শিক্ষার্থীকে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় কারণে যেতে পারেন না ইউরোপ৷ কেউ কেউ দুই বছর বা তারও বেশি অপেক্ষার পর পান ভিসা৷ কিন্তু ততদিনে হয়তো আর অফারলেটারের কার্যকারিতা থাকে না৷ এর সমাধান কী? তাই দেখানো চেষ্টা করা হবে।
শেষপর্বের বিষয় নারীর অভিবাসন কতটা নিরাপদ? ইউরোপের সব দেশে কি নারীদের জন্য সুবিধা একই রকম? রোমানিয়া দেশটি নারীদের জন্য কেমন তা দেখনো হবে এই পর্বে। এছাড়া নারীদের দক্ষতা বাড়ানো এবং তাদের সুযোগ তৈরি করে দেবার ক্ষেত্রে সরকার বা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কী ভূমিকা রাখছে এবং সেখানে আর কী করা দরকার তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: