• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, হিট স্ট্রোকে বাড়ছে মৃত্যু 

প্রকাশিত: ২১:৩২, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, হিট স্ট্রোকে বাড়ছে মৃত্যু 

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। হিট স্ট্রোকে সিলেট ও পাবনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। চরম বিপাকে শ্রমজীবীরা। হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। অসহনীয় তাপমাত্রায় ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মেহেরপুরে ৪৩ দশমিক শূন্য চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, প্রচণ্ড দাবদাহে বেড়েছে সেচের খরচ। বিপাকে কৃষকরাও। 

কাঠফাটা রোদ, তপ্ত “লু” হাওয়া আর অনাবৃষ্টি মাথায় নিয়ে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা আর যশোরের জনজীবন এখন অসহনীয় পর্যায়ে। তাপমাত্রার উচ্চ পারদে ঘরে থেকেও যেন স্বস্তি মিলছে না। 

গত এক সপ্তাহে মেহেরপুরের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।  প্রকৃতির এমন বৈরী মূর্তি এর আগে কখনো দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ। কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। 

প্রখর রোদে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে থাকা নানা ধরনের ফসল। খরায় মাটি ফেটে এখন চৌচির মেহেরপুরের কৃষকের মাঠ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে চরম বিপাকে শ্রমজীবীরা। সন্ধ্যার পর স্বস্তির খোঁজে গাছের নিচে ও নদীর পাড়ে ভিড় করছেন অনেকে। 

এদিকে, গরমের তীব্রতায় নাভিশ্বাস যশোরের মানুষের। ব্যারোমিটারে তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়তই  ঊর্ধ্বমুখী। আবহাওয়া অফিস জানায়, গত সাত দিন ধরে ৩৮ থেকে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। 

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্য না থাকায় দুর্বিষহ এখানকার জনজীবন। আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারি ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে প্রশাসন।  

তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রাজশাহীতেও । বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। দুপুর তিনটার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রখর রোদে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি চরমে। শ্বাসকষ্ট আর ডায়রিয়া নিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে গড়ে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। 

এদিকে, তীব্র গরমে সাতক্ষীরার জনজীবনও বিপর্যস্ত। বৈশাখের শুরু থেকে গরমের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। ভ্যাপসা গরমে নাকাল সাধারণ মানুষ। আশ্রয় নিচ্ছেন পৌরদীঘির পাড় ও জেলা শহরের বিভিন্ন গাছতলায়। অসহনীয় কষ্টে শ্রমজীবীরা।

খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: