মাস্টার্স পাশের পর রঙিন মাছ চাষ, লাখোপতি গাইবান্ধার সাগর
মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়ে রঙ্গিন মাছের চাষ শুরু করে ৬ বছর না ঘুরতেই এখন ১৫ লাখ টাকার মালিক গাইবান্ধার সাগর। রঙ্গিন মাছ চাষ করে সকল খরচ মিটিয়ে প্রতি মাসে তার গড় লাভ থাকছে প্রায় ৬০ থেকে৭০ হাজার টাকা। সাগরের দেখে এলাকার অন্যরাও এখন আগ্রহী হচ্ছে রঙ্গিন মাছ চাষে।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের মো: মোজাফ্ফর সরকারের পুত্র মো: সাগর সরকার। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স পাশ করে নিজ বাড়ির পাশেই তৈরি করেছে সাগর এগ্রো ফার্ম নামে রঙ্গিন মাছের একটি খামার।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় থেকেই সাগরের ইচ্ছা ছিল চাকুরির পিছনে না দৌড়ে নিজে কিছু করার। একদিন সাগরসহ তার তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নেয় তারা রঙ্গীন মাছের চাষ করবে। এ সিদ্ধান্ত থেকে ২০১৯ সালে মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়ে শুরু সাগরের রঙ্গিন মাছ চাষ। শুরুতে কিছুটা লোকসান হলে সাগরের দুই বন্ধু মাছ চাষ থেকে সরে দাড়ায়।
তবে অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে রঙ্গিন মাছের চাষ চালিয়ে যেতে থাকে সাগর। ধীরে ধীরে সাগর রঙ্গিন মাছ বিক্রি করে মুনাফা করতে থাকে। সাগরের মাছের খামারে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ১৮ জাতের রঙ্গিন মাছ। এর মাঝে রয়েছে মলি, গাপ্পি, সর্ট টেইল, জেব্রা, কমেট, গোল্ড ফিশ সহ রাহারি রঙ্গের সব মাছ। সাগরের খামারে এখন রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ। এসব মাছ বিক্রি করে সকল খরচ বাদে সে মাসে মুনাফা করছে প্রায়৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ।
চাকুরির পিছনে না ছুটে রঙ্গিন মাছের চাষে স্ববলম্বি হওয়ায় এলাকায় এখন অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়েছে সাগর। এ অঞ্চলের মানুষের যেখানে ধারনাই ছিলোনা যে রঙ্গিন মাছেরও চাষ করা যায়, সেখানে সাগর এ মাছের চাষ করে চাকুরিজীবিদের থেকে কয়েকগুণ টাকা উপার্যন করছে। এসব দেখে এলাকার অনেকেই এখন সাগরের কাছে আসছে রঙ্গিন মাছ চাষ করে কিভাবে স্বাবলম্বি হওয়া যায় তার পরামর্শ নিতে।
সাগরের মাছ চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রাশেদ।
রঙিন মাছ চাষে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের গন্ডিতে রপ্তানি করতে চান এই তরুণ উদ্যোক্তা।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: