দেশ স্বাধীন না হলে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের এতোটা বিকাশ হতো না: মোস্তাফা জাব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের এতোটা বিকাশ হতো না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে হুমায়ুন আহমেদ এর মতো সাহিত্যিকদেরও আত্মপ্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হতো না। পশ্চিম বাংলায় আধুনিক বাংলাসাহিত্য ও বাংলা প্রকাশনার উন্মেষ, বিকাশ সাধিত হলেও বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষীর জন্য বাংলাদেশই হচ্ছে বাংলা ভাষার রাজধানী। বাংলাদেশই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলার এনকোডিং ও কিবোর্ডের মান প্রমিত করেছে। বাংলা ভাষার ১৬টি টুলস উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী গতকাল (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অন্যদিন হুমায়ুন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ উপলক্ষ্যে অন্যদিন ও এক্সিম ব্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, অধ্যাপক মো: জাফর ইকবাল, সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো: আবদুর বারী এবং নবীন সাহিত্যিক মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে গল্প উপন্যাস তথা সাহিত্য বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টিতে হুমায়ুন আহমেদের অবদান তুলে ধরে বলেন, বাংলা সাহিত্য বৈশ্বিক নেতৃত্বের আসনে উপনীত হওয়ার জন্য হুমায়ুন আহমেদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে।
হুমায়ুন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ পুরস্কৃত হয়েছেন দুই প্রজন্মের দুই সাহিত্যিক। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এবার পুরস্কার পেয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন। এছাড়া নবীন সাহিত্য বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ। ২০১৫ সালে শুরু হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। ২০১৫ সালে এ দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন যথাক্রমে শওকত আলী ও সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম। ২০১৬ সালে হাসান আজিজুল হক ও স্বকৃত নোমান, ২০১৭ সালে জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও মোজাফ্ফর হোসেন, ২০১৮ সালে রিজিয়া রহমান ও ফাতিমা রুমি, ২০১৯ সালে রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন, ২০২০ সালে হাসনাত আবদুল হাই ও নাহিদা নাহিদ, ২০২১ সালে সেলিনা হোসেন ও ফাতেমা আবেদীন এবং ২০২২ সালে পুরস্কৃত হয়েছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক ও মৌরি মরিয়ম।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: