টাঙ্গাইলের বাসাইলে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা
দুই হাজার একর ফসলি জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা
ছবি: সংগৃহিত
টাঙ্গাইলের বাসাইলে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার কারণে দুই হাজার একর ফসলি জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব এলাকায় এবার সরিষাও আবাদ হচ্ছে না। বোরো আবাদেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বাসাইল পৌর এলাকার আন্দিরাপাড়া, এসআর পাড়া, পালপাড়া, বালিনাসহ কয়েকটি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় এবার বর্ষার পানি জমে বিশাল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষায় ঝিনাই নদীর বাঁধ ভেঙে এখানে পানি প্রবেশ করে। দীর্ঘ রাস্তাগুলোতে ব্রিজ-কালভার্ট না দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণের কারণে পানি বের হতে পারেনি। এসব এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এবার এসব এলাকায় সরিষার আবাদ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও, বোরোর বীজতলা বুনতে পারেনি এলাকার কৃষক। এখনও এসব এলাকার আবাদি ক্ষেতে পানি জমে থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কালভার্টসহ ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে যেখানে অনাবাদি জমি গুলো আবাদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে সেখানে অপরিকল্পিত রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণের কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এসব জমির ফসল উৎপাদন। এ ব্যাপারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকবাসীর।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জলবদ্ধতার কারণে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন বোর ধান ও ৭৮০ মেট্রিক টন সরিষার আবাদ কম হবে।
সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাসাইল পৌরসভা প্রশাসক মো. শাহ্রুখ খান।
নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, সে সমস্ত জায়গায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বর্ষায় যেসব রাস্তা পানির চাপে ভেঙে গেছে। সেসব রাস্তাগুলোতে আগামী প্রকল্পে ব্রীজ অথবা কালভার্ট দেয়ার পরিকল্পনা করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। তাহলে জলাবদ্ধতা দূর হবে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: