• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

যশোরে জমি কিনে বিপাকে যুবক!

রাজেক জাহাঙ্গীর, যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
যশোরে জমি কিনে বিপাকে যুবক!

সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন

যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া মৌজায় জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রেসক্লাব যশোরের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শেখহাটি গ্রামের ইমরান হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'শহরতলীর আড়পাড়া মৌজায় আড়পাড়া গ্রামের মরহুম জামাত আলী তরফদারের ওয়ারেশ ফজলুল রহমানের কাছ থেকে ২০১৫ সালে আরএস ১২৪৮ দাগের ৪৭ শতক ও ১২৪৯ দাগের ৭২ শতক জমি ক্রয় করি। এই দুই দাগে মোট (৪৭+৭২) ১২৯ শতক জমি ক্রয় করা হয়। একই দাগের অপর জমি রেকর্ডিয় সূত্রে মালিকানা লাভ করেন আড়পাড়া শাহাপুর গ্রামের আব্দুস জব্বারের ছেলে শহিদুল ইসলাম। এছাড়াও ওহিদুল এই দাগের ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। ফজলুর রহমান জমি দলিল করে দেয়ার পর চৌহদ্দি নির্ধারণ করে জমি বুঝে দেন আমাকে। আমি শান্তিপূর্ণভাবে এ জমির ভোগদখল করে আসছিলাম। এরমধ্যে এই দাগের অপর জমির মালিক শহিদুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর আগে ধানের বীজতলা তৈরির জন্য রাস্তার পাশের অংশ ব্যবহার করতে চান। আমি সহজ সরলভাবে শহিদুল ইসলামকে এ জমি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলাম। কয়েক বছর পর এ রাস্তা সামনে রেখে লম্বালম্বিভাবে ব্যবহার করতে গেলে শহিদুল ইসলাম তাতে বাধা দেন। ফজলুর রহমান গংয়ের কাছ থেকে ক্রয়কৃত এই জমির দলিলে চৌহদ্দি উল্লেখ করা হয়েছে।' 

তিনি বলেন, 'আমার কেনা জমির দলিলে চৌহদ্দিতে উত্তর পাশে সরকারি রাস্তা, দক্ষিণে ডিটু গং, পূর্বে ওয়াহিদুল ইসলাম গং ও পশ্চিমে সিরাজুল ইসলাম গং উল্লেখ আছে। চৌহদ্দি অনুযায়ী এই জমি কোনভাবে শহিদুল ইসলাম আমাকে দখল করতে দিচ্ছেন না। আমি নিরুপায় হয়ে ২০২৪ সালের ২৩ জুন তারিখে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। অভিযোগের ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ নোটিশের মাধ্যমে শহিদুল ইসলামকে শালিসে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করলে তিনি ধার্য দিনে আসেননি।

শহিদুল ইসলামের ছেলে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তার ক্ষমতা অনেক বেশি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। এর মধ্যে শহিদুল ইসলাম আমাকে বিভিন্নভাবে শাসিয়েছেন, জমি নিয়ে যেন আর কোন বাড়াবাড়ি না করি। তারপরও শহিদুল ইসলাম গত ২৯ ডিসেম্বর যশোর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। 

অভিযোগে তিনি এ দুই দাগের ১২৯ শতক জমি বাদে বাকি জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত পক্ষে শহিদুল ইসলামও এই জমি রেকর্ডিয় সূত্রে মালিক। তিনি তার অভিযোগে মিথ্য তথ্য দিয়েছেন। এ অভিযোগের ব্যাপারে কমিশনারের কার্যালয়ে শুনানি হয়েছে। তবে প্রশাসন কোন সুরাহা করতে পারেননি। আমি কয়েক বছর ধরে এ জমি উদ্ধারে আইনগতভাবে সুরাহার জন্য বিভিন্ন দফতরে ধর্ণা দিয়ে কোন ফল পাইনি। শহিদুল ইমলাম ক্ষমতার জোরে আমার জমি দখল করে আছেন। আমি এ জমি উদ্ধারে প্রশাসেন হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2