নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, অতঃপর শ্রীঘরে

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামে সেলিনা বেগম (৩২) নামের এক সদ্য বিবাহিত গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে নেশাগ্রস্ত স্বামী। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিয়ে দেওয়ানকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ একই ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের মোস্তফা হালদারের কন্যা। হত্যার পর ঘাতক স্বামী পালিয়ে গেলেও রাত দেড়টার দিকে পুলিশ তাকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানান, দেওয়ানকান্দি গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে সুজনের সাথে প্রায় ৩ মাস পূর্বে সেলিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সেলিনা জানতে পারে তার স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত। দিনরাত নেশা করায় সেলিমার সংসারের নানা ধরণের অশান্তি সৃষ্টি হয়। স্বামীকে নেশার জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরণের চেষ্টা করে নিহত গৃহবধূ সেলিনা বেগম। ঘটনার দিন রাতে সুজন নেশা করে বাড়ি ফেরায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে সেলিনা বেগমকে হত্যা করে। হত্যার পর পর সুজন এবং তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
এদিকে সেলিনা বেগমকে হত্যা করার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে রাতেই বকুলতলাসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন সুজনের বাড়ি ছুটে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেলিনার মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই মিল্টন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। ঘটনার পর পর সুজনসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। আসামি গ্রেফতারের জন্য আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে রাত দেড়টার দিকে আসামি সুজন মোল্লাকে দিঘীরপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
তিনি আরও জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি সুজন একজন নেশাখোর। সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। আমরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামি সুজন মোল্লা মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন আছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: