• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

টানা ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দী হাজারখানেক মানুষ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৮ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৮:৫৩, ৮ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
টানা ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দী হাজারখানেক মানুষ

সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। 

বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে, ভেসে গেছে ফসলের ক্ষেত ও মৎস্যঘের। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে ভ্যান ও রিকশাচালকসহ দিনমজুর মানুষেরা। শহরের মানুষের উপস্থিতি তেমন না থাকায় আয় করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ গুলো। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা আলীনুর খান বাবুল জানান, পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, অপরিকল্পিতভাবে নদী-খাল খনন ও দখলের কারণে মানুষ বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছে। টানা ৩/৪ দিনের ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে পৌরসভার ইটাগাছা, কামালনগর, বারুইপাড়া, কুখরালী, রসুলপুর, মেহেদিবাগ, মধুমোল্লারডাঙ্গী, বকচরা, পলাশপোল, পুরাতন সাতক্ষীরা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, ঘুটিরডাঙি ও কাটিয়া মাঠপাড়াসহ নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল হাজার হাজার পরিবার।

পুরাতন সাতক্ষীরা ডাঙিপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, রামচন্দ্রপুর বিলের পানি উঠেছে তার উঠানে। সেখানে অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘরে ও উঠোনে পানি থৈ থৈ করছে। নারী ও শিশুরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।

শহরের কুখরালি এলাকার বাসিন্দা তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কুখরালী উত্তরপাড়ার প্রায় ১০০টি পরিবারের ৫শতাধিক মানুষ এক মাস যাবত পানিবন্দী হয়ে আছেন। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে চলছে এই অবস্থা। তিনি আরও জানান, বছরের চার থেকে পাঁচ মাস ওই এলাকায় হাঁটু পানি জমে থাকে। দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকায় চলাচলের রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে। পঁচা পানির কারণে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এলাকাটিতে। খাওয়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহে খুব কষ্ট হচ্ছে মানুষের। এ অবস্থায় শিশুরাও ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছে না পচা পানি ও সাপের ভয়ে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামী আরো দুই দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে অবৈধ নেট ও বেড়িবাধ দিয়ে যারা মাছ চাষ করেছেন সেগুলো কেটে দিয়ে পানি অপসারন করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারও ভারী বর্ষনের মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় পানি অপসারণের জন্য কাজ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন: