মাইলস্টোন শিক্ষার্থী ফাতেমার কবরে বিমানবাহিনী প্রধানের শ্রদ্ধা

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার (০৯) কবরে বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শনিবার (০২ আগস্ট) দুপুরে ফাতেমার কবরে শ্রদ্ধা এবং স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুনিয়া গ্রামে আসেন বিমান বাহিনীর ১৯ সদস্যের একটি দল।
বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আসিফুজ্জামান ও মাফরুহা বেগমের নেতৃত্বে ফাতেমার বাবা কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন ও স্থানীয়দের নিয়ে কুনিয়া কওমী ও কারিগরি মাদরাসা সংলগ্ন কবরস্থানে যায় দলটি। সেখানে স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আসিফুজ্জামান ও অন্য সদস্যরা বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে ফাতেমার কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নিহত ফাতেমাসহ মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন কুনিয়া কওমি ও কারিগরি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম। এ সময় চিতলমারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নিয়ত ফাতেমার বাড়িতে আসেন বিমানবাহিনীর ওই দলটি। ফাতেমার বাবা-মা ও স্বজনদের শান্তনা দেন এবং সমবেদনা জানান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা।
বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে বাড়িতে এসে এমন শ্রদ্ধা জানানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফাতেমার বাবা প্রবাসী বনি আমিন। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে তো আর কোনদিন পাব না। তারপরও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা আমার মেয়ের কবরের কাছে আসছে। সম্মান দেখিয়েছে, এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
ফাতেমার প্রতিবেশী ছত্তার শেখ বলেন, ফাতেমার মত মৃত্যু যেন আর কারও না হয়। এত ছোট শিশুকে রাষ্ট্র যে সম্মান দেখিয়েছে, এজন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
গেল ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। ফাতেমা আক্তার আনিশাসহ অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হয়। নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশা চিতলমারী উপজেলার কুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন ও গৃহবধূ রুপা দম্পতির বড় মেয়ে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: