• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষিণে বর্ষা বিদায় নিলেও উত্তরে বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
দক্ষিণে বর্ষা বিদায় নিলেও উত্তরে বন্যার শঙ্কা

দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে ধিরে ধিরে বর্ষা বিদায় নিলেও উত্তরে এখনই থামছে না বৃষ্টি। লঘুচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহেও বিক্ষিপ্ত ভাবে চলবে ঝড়বৃষ্টি। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবন্ধায় মধ্যরাত থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তবে আগামী দুই দিন ভাড়ি বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহওয়া অফিস।

রংপুর আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, উত্তরাঞ্চলে রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও সোমবার উত্তরের আকাশ বৃষ্টি মেঘে ঢেকে পরে। এইদিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৫০ মিলিমিটার। আর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩২ মিলিমিটার। সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯২ মিলিমিটার।  

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের ওপরে রয়েছে উচ্চচাপ যুক্ত ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে ভারতের নদী ও সাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প। তার জেরে উত্তরের আট জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারি বৃষ্টি।

এদিকে, ওপারের ঢলে ফেঁপে ফুলে উঠেছে তিস্তা নদী। রবিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানিয়েছেন, গত শনিবার তিস্তার পানি বিদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে ছিলো। ভারত পানি ছাড়ায় হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার নদীর পানি বিপদসীমা ক্রস না করলেও কাছাকাছি বয়ে যাচ্ছে। নদীর আগ্রাসী রূপ দেখে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ, হাতিবন্ধা, আদিতমারী, রংপুরের গঙাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষরা আতঙ্কে রয়েছে। যদিও অকাল বন্যা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে মাঠ প্রশাসন। শুকনো খাবার, ওষুধ, উচু স্থান আগে থেকেই প্রস্তুত করেছে রংপুরের জেলা প্রশাসন।
 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: