• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোর ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাজী ইনাম আহমেদকে অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

রাজেক জাহাঙ্গীর, যশোর

প্রকাশিত: ১৭:২২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৭:২২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
যশোর ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাজী ইনাম আহমেদকে অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য করার প্রতিবাদে এবং তার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ক্রীড়া সংগঠক এবং সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়বৃন্দ। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

স্মারকলিপিতে জেলার ক্রীড়া সংগঠক এবং সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়বৃন্দ উল্লেখ করেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে কাজী ইনাম আহমেদের নাম সংযোজন হওয়ায় আমরা রীতিমত হতবাক, মর্মাহত, আশাহত এবং ক্ষুদ্ধ। বিগত দিনে তিনি যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু, কার্যত খেলার উন্নয়ন, ক্রীড়া সংস্থার উন্নয়ন, মাঠ, খোলায়াড়দের ভালো মন্দ সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসভা করার কারণে স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভাঙাসহ মাঠের ক্ষয়ক্ষতি তার মাধ্যমে এবং প্ররোচনায় করা হয়েছিলো। আমরা জানতে চাই, কার সুপারিশে এবং কোন অথরিটির মাধ্যমে এই সদস্য পদটি যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে সংযোজন হলো।’

সারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কাজী ইনাম আহমেদ সদস্য হওয়ায় যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এবং যশোর ক্রীড়াঙ্গনে কোন সুফল বয়ে আনা তো দূরের কথা বরং জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিগত ১৪ বছরের অচল অবস্থা এবং জটিলতা আরও বৃদ্ধি হবে। তিনি শুধু ব্যক্তিস্বার্থে যশোর জেনা ক্রীড়া সংস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। যেটি বিগত বছরগুলোতেও তিনি করেছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে যশোর সংসদীয়-৩ আসনে বিনা ভোটের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ তার ভাই হওয়ার সুবাদে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে কিছু সুবিধাভোগী, দুর্নীতিপরায়ণ সংগঠককে সাথে নিয়ে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেখার আশ্বাসে ক্রীড়াঙ্গণে মারাত্মকভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছিলেন এবং সর্বক্ষেত্রে একনায়কতন্ত্রের আমল জারি করেছিলেন। যেটা ক্রীড়াঙ্গণের ক্ষেত্রে একেবারেই বেমানান। কোন সংগঠক বা খেলোয়াড় তাদের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করতে পারতেন না। সঠিক, সত্য, নিরপেক্ষ কথা বললে তাকে মাঠ থেকেই তিরস্কৃত করা হতো। যার ফলে বিগত দিনে কাজী ইনাম আহমেদ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় থাকাকালীন ক্রীড়াঙ্গণের দক্ষ সংগঠকবৃন্দ এবং সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়বৃন্দ মাঠ বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন। তাই, কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে একজন সদস্যের নাম বাদ দিয়ে তাকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছি। একই সাথে অবিলম্বে কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য পদ থেকে অপসারণ করারও জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এদিকে, স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহতাব নাসির পলাশ বিতর্কিত কাজী ইনাম আহমেদকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি থেকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাকে প্রত্যাহার করা না হলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই দাবিতে আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন ক্রিকেট গ্যালারির নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন পলাশ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার সৈয়দ মাশুক মো. সাথী, জেলা দলের সাবেক ক্রিকেটার মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, মোস্তাক নাসির টনি, খান শফিক মো. রতন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা আখিরুজ্জামান সান্টু, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এ বি এম আখতারুজ্জামান, ক্রীড়া সংগঠক হিমাদ্রী সাহা মনি, শহিদ হোসেন লাল বাবু প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগ সরকারের যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (সাবেক) পলাতক কাজী নাবিল আহমেদের ছোট ভাই কাজী ইনাম আহমেদ।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: