পাঁচ বছরের ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করলেন মা!

ফরিদপুরের সদরপুরে পাঁচ বছর বয়সি ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক মা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের রমজান শেখের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২৩) ও তার ৫ বছরের পুত্র সন্তান হুজাইফা। দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামের রমজান শেখের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার তার শিশু ছেলে হুজাইফাকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে সুমাইয়া গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয় এবং সুমাইয়া আক্তারকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সুমাইয়া অন্তঃসত্বা ছিলেন এবং তার সিজারিয়ান ডেলিভারির তারিখ নির্ধারিত ছিল আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। সুমাইয়ার বাবার নাম রমজান খান। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী গ্রামের বাসিন্দা। ২০২০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে সদরপুরের পূর্বকান্দি গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে রমজান মুন্সির বিয়ে হয়। সুমাইয়ার স্বামী রমজান মুন্সি কয়েক বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তবে দুই বছর আগে দেশে ফিরে আসেন এবং আবার বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
নিহত গৃহবধূর শ্বশুর মোতালেব মুন্সি জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির কাছে গরুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ বাড়িতে চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনি মর্মান্তিক এ ঘটনার মুখোমুখি হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল গণমাধ্যমকে জানান, শিশুটিকে গলাকাটা কম্বল পেঁচানো মৃত অবস্থায় ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে। আর তার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ওসি সুকদেব রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের খাটের ওপর থেকে শিশুটির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারকে গলায় রশি নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করে এর কোনো কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: