মাশুল ও পণ্যবাহী গাড়ির প্রবেশ ফি বৃদ্ধি
চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ মালিক-শ্রমিকদের ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বৃদ্ধি ও পণ্যবাহী গাড়ির গেইট পাস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও শ্রমিকরা। শুধু পণ্যবাহী গাড়ির গেইট পাস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনদিন যাবত গাড়ি চালাচ্ছেন না কনটেইনরা পরিবহনকারী প্রাইম মুভার, ট্রেইলার মালিকরা। ফলে, বন্দরে সাময়িক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে, বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ডিপো বা অফডকের ট্রেইলর চলছে।
এমনিতে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ অক্টোবর থেকে ৪১ শতাংশ বাড়তি মাশুল কার্যকর নিয়ে ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা। তার ওপর ভারী গাড়ি প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ২৩০ টাকা। ফলে, ক্ষুব্ধ হয়ে কনটেইনার পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রেইলার চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিকরা।
এদিকে, মাশুল বৃদ্ধিসহ একই দাবিতে ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও শ্রমিকরা। ফলে, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে একধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বন্দর চেয়ারম্যানের।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়, প্রাইম মুভার মালিকরা ৫৭ টাকার পাস ২৩০ টাকা করায় গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ট্যারিফ সমস্যার সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ট্রেইলার ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বন্দরের হ্যান্ডলিং ও অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: