• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ভোলায় ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২১:১১, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ভোলায় ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

ভোলার লালমোহন উপজেলায় পৌরসভা ১০নং ওয়ার্ডের রসুমদ্দিন বেপারী বাড়িতে প্রায় ৫০ বছরের ভোগদখলীয় ঘরসহ জমি দখলের চেষ্টা করেন স্থানীয় ভূমিদস্যু ও আওয়ামী লীগের নেতা মোতাহারসহ একদল ভূমিদস্যুরা। 

ভুক্তভোগী লিটনের স্ত্রীর থানার জিডি সূত্রে জানা যায়, চরছকিনা মৌজায়, ১৯নং জেএল, এসএ ৯৫৩ ও ১০২৬নং খতিয়ানে ২৫৭৬নং দাগে ২৪ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫০ বছর ধরে ঘরসহ বসবাস করেন মৃত আচমত আলীর ছেলে আবুল হোসেন। উক্ত জমিটি ক্রয় করেন লিটন। ঘরসহ জমিটি ক্রয় করে মালিক নিযুক্ত হন লিটন। 

ভুক্তভোগী লিটন আরো জানান, ৩/৪ বছর ঘরসহ বসবাস করে আসছি। ঘরটি সংস্কারের জন্য আমি কাজ শুরু করলে উক্ত ভূমিদস্যুরা আমাকে ঘর উত্তোলনে বাধা দেয়। পরে উক্ত ভূমিদস্যুরা ভোলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাকে এক নাম্বার বিবাদী করে একটি মামলা দাখিল করেন। মামলা নং এম পিও ২২৫/২৩ ইং উক্ত আদালত সরেজমিনে তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে এসে সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ও ভোগদখল দেখে উক্ত আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। উক্ত আদালত সরেজমিনে তদন্তের প্রতিবেদন, উভয়ের  কাগজপত্র ও দুইপক্ষে বক্তব্য শুনে মামলাটি খারিজ করে দেন। লিটন আরো জানান, তাদের ক্ষমতা দাপটে আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর উত্তোলন করতে পারি না। ভূমিদস্যু মোতাহারসহ এটি প্রভাব শালীদের জন্য।

বিরোধীয় জমিটি নিয়ে একাধিক বার সালিশ-বৈঠকের ব্যবস্থা করা হলে ও উক্ত ভূমিদস্যুরা সালিশব্যবস্থা মানতে চায়না। আদালতের আদেশ ও গ্রাম্য সালিশ ব্যবস্থা না মেনে গত ১৮-০৮-২৫ ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে আমার জমিতে থাকা গাছ কেটে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এসময় লিটনের স্ত্রী রহিমা বাধা দিতে আসলে উক্ত ভূমিদস্যুরা তাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন ও তাদের হাতে থাকা দা, রড, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন। ভূমিদস্যু মোতাহারের নেতৃত্বে উক্ত ভূমিদস্যুরা তাদের হাতে থাকা দা, রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রহিমাকে গুরুতর জখম করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে লিটনের স্ত্রী রহিমা সুস্থ হয়ে লালমোহন থানায় একটি জিডি করে। জিডি নং ১১২৮, তারিখ ১৮-০৯-২৫ ইং। উক্ত জিডিটি তদন্তের দায়িত্ব পায় এসআই মাহমুদুল হাসান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভুমি দস্যু মোতাহার অভিযোগটি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাহমুদুল হাসান জানান, এ বিষয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। পরবর্তী আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2