• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

সারডিলারের গুদাম ভাঙচুর, অভিযুক্তকে আটক করায় থানায় হুমকি

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২২ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সারডিলারের গুদাম ভাঙচুর, অভিযুক্তকে আটক করায় থানায় হুমকি

রংপুরের বদরগঞ্জে বিসিআইসি সার ডিলার হরে কৃষ্ণ কুন্ডুর পাকা গুদামঘর ভেঙে জবরদখলের অভিযোগে একজনকে আটক করার পর তাকে ছাড়াতে থানায় গিয়ে ওসিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি রাতে থানার ওসির কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ আটককৃতকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।

গুদামের মালিক হরে কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, তিনি একজন বিসিআইসির সার ডিলার। ১৯৯৯ সালে তিনি বদরগঞ্জ পৌরসভার মুন্সিপাড়া মোড়ে তিন শতক জমি কিনে সেখানে পাকা গুদামঘর নির্মাণ করেন। সেখানে তিনি বিসিআইসির সরকারি সার মজুদ ও বিক্রি করেন।

হরে কৃষ্ণ কুন্ডুর অভিযোগ, ১৮ নভেম্বর রাতে আবু সাঈদ তার জায়গায় গুদামঘর তোলার অভিযোগ তুলে লোকজন নিয়ে সেটি ভাঙতে থাকেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ভাঙচুর বন্ধ না করে পুলিশের উপস্থিতিতে ভাংচুর করে।

রাত সাড়ে ১০টার পর বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে আবু সাঈদকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভুট্টু লোহানীসহ কয়েকজন থানায় যেয়ে ওসির কক্ষে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।

এ সময় ভুট্টু লোহানী ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগে জানতে হবে উনি কে? হুট করে তুলে আনলেন কেন? এভাবে তুলে আনতে পারবেন না...।’ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি মুঠোফোনে ধারণ করতে গেলে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এতে থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ আবু সাঈদকে ছেড়ে দেয়।

হরে কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, ‘ওসির সামনেই ওরা আমাকে এবং আমার পরিবারকে নাশকতার মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন। এমনকি পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা এজাহার হিসেবে গণ্য করেনি। 

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখা যায়, গুদামঘরের দুই পাশের পাকা দেয়াল ভাঙা। ভেতরে কয়েক বস্তা সার পড়ে আছে।

জানতে চাইলে  ভুট্টু লোহানী বলেন, ‘আবু সাঈদকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছিল। থানায় না গেলে ওসি তাকে ছেড়ে দিতেন না।’

আবু সাঈদ দাবি করেন, গুদামঘরটি তাঁর কিছু জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। বহুবার অনুরোধ করার পরও হরে কৃষ্ণ কুন্ডু জায়গা না ছাড়ায় লোকজন লাগিয়ে ভাঙা হয়েছে। ওসি আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে থানায় আটকে রেখেছিল। 

বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আজিজুল হক বলেন, বিষয়টি জেলা বিএনপিকে জানানো হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে কোন নেতাকর্মী অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করলে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘রাতে গিয়ে কারও ঘর ভাঙা ঠিক হয়নি। সমস্যা থাকলে সমাধানের পথও আছে।’

বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানার দুইজন পুলিশ সদস্য জানান, চাকরি জীবনে থানায় ঢুকে এভাবে ওসিকে হুমকি ধামকি দেওয়া দেখিনি। এতে আমরা অবাক হয়েছি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2