• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দাফন সকালে

নিজ বাড়িতে পৌঁছেছে হাদিসুরের লাশ, স্বজনদের আহাজারি 

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ১৪ মার্চ ২০২২

আপডেট: ২২:৪৯, ১৪ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
নিজ বাড়িতে পৌঁছেছে হাদিসুরের লাশ, স্বজনদের আহাজারি 

হাদিসুর রহমানের মরদেহবাহী গাড়ি

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে পৌঁছেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টায় স্বজনরা তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। এরপর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বিশেষ করে তা মা রাশিদা বেগম এবং বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও ভাই তরিকুল ইসলাম লাশ দেখে বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। 

নিহতের হাদিসুরের চাচা ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান জানান, এখন হাদিসুরের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। 

সোমবার দুপুর ১২টা ২০মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ১টার দিকে লাশ নিয়ে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনরা। 

তিন ভাই ও  এক বোনের মধ্যে হাদিসুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা আব্দুর রাজ্জাক অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক, মা রাশিদা বেগম গৃহিণী। বড় বোন সানজিদা আক্তার পেশায় নার্স। ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স ঢাকায় লেখাপড়া করেন। মেঝো ভাই তরিকুল ইসলাম থাকেন পটুয়াখালীতে। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান।

বিভি/এজেড/এইচএস

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2