হিজড়ার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে রাজমিস্ত্রি হত্যা, অতপর...

একজন ট্রান্সজেন্ডারের (হিজড়া) সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল ফজর আলীর। জানতে পেরে এই সম্পর্ককে ইস্যু করে তাঁর কাছ থেকে মাসের পর মাস টাকা নিচ্ছিল রাজমিস্ত্রি ডালিম। কিছুদিন পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ট্রান্সজেন্ডারকে ফজর আলীর বাসার সামনে নিয়ে আসে ডালিম। দাবি করে, ৩০ হাজার টাকা। তাই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডালিমকে সন্ধ্যায় ডেকে এনে জবাই করে হত্যা করে ফজর আলী। পরে ডালিমের লাশ একটি জমির আইলে পুতে ফেলেন নিজ হাতেই।
সিলেটের জৈন্তাপুরে সম্প্রতি রাজমিস্ত্রি ডালিম নিখোঁজের ঘটনায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এসব কথা জানান হত্যাকারী ফজর আলী ওরফে ফখর নিজেই। এর আগে ডালিমের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমে ফজর আলীর সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।
সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন ফজর আলী। আদালতের বিচারক নুশরাত শারমিন জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে বিকেলে তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জৈন্তাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:
- ফলোয়ার ৯০ লাখ, ভোটে দাঁড়িয়ে পেলেন মাত্র দেড় হাজার!
- ‘চাঁদা নয়,বউ উদ্ধারের জন্য আড়াই লাখ টাকা দাবি করেছিলাম’
আদালত সূত্র জানায়, ফজর আলী জানিয়েছে তাঁর কিছু গোপন তথ্য জানতো ডালিম। সেটাকে ইস্যু করে টাকা আদায় করে আসছিল সে। ডালিমকে টাকা দিতে গিয়ে নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় ফজর আলীকে। ফলে বাধ্য হয়ে ডালিমকে হত্যা করে সে।
হত্যাকাণ্ডের সময় ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে নিজের হাতও কেটে যায় বলে জানায় ফজর আলি।
পুলিশ জানায়, রাজমিস্ত্রী ডালিম আহমদ নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা বাচ্চু মিয়া ৬ মার্চ জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এর পরদিনই অর্ধ গলিত একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করে মৃত দেহটি ডালিমের বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ফজর আলীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আসামি ফজর আলী ওরফে ফখর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া ইউনিয়নের ভগতপুর কাজী গ্রামের মোসাদ্দেক আলীর ছেলে। তিনি সেনানীবাসে বাবুর্চির কাজ করতেন বলেও জানায় পুলিশ।
বিভি/ একেআর/ কেএস
মন্তব্য করুন: