• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

৭ বছর পর পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ১৯ মার্চ ২০২২

আপডেট: ১৯:১৫, ১৯ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
৭ বছর পর পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

পঞ্চগড় জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীগণ

সাত বছর পর আগামীকাল রোববার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইতোমধ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে। জেলা সম্মেলনকে ঘিরে একদিকে পঞ্চগড় জেলায় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নেতৃত্বের সমর্থনে ব্যানার-ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পদ পদবীর সমর্থনে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। 

বিভিন্ন নেতার অনুসারীরাও নিজ নিজ নেতার সমর্থনে ফেসবুকে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। গোটা জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দলীয়ভাবে ছাড়াও বিভিন্ন প্রার্থী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই মিছিল সভা-সমাবেশ ও শোডাউন করছেন। 

সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনে কে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হবেন এ নিয়ে তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। 

বর্তমান জেলা কমিটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও কোন গ্রুপিং নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী কার্যকরী কমিটি উপহার দিতে চান তারা। এ জন্য সম্মেলনকে ঘিরে নানা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু তোয়বুর রহমানকে আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে সদস্য সচিব করে জেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও অর্ভথ্যনা, সাজ-সজ্জা, খাদ্যসহ ৮টি উপ কমিটি ও সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এ দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন আবারও সভাপতি হিসেবে মনোনিত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ছাড়াও বর্তমান জেলা কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক, পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক ও সভাপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। 

একই পদে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মজাহারুল হক প্রধানও প্রার্থীতা হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মো. মজাহারুল হক প্রধান সাংবাদিকদের জানান, প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা আমাদের মধ্যে নাই। একটি গ্রহণযোগ্য সম্মেলন উপহার দিতে পারবো। পদের জন্য বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে মতামত ব্যক্ত করেছে। মূলত দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি যে সিদ্ধান্তটি দিবেন আমিও ইতোপূর্বে মেনেছি, এখনও মানব, ভবিষ্যতেও ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে আছি দলের সিদ্ধান্তই আমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আমাকে কোন পদ পদবি দিলেও আমি দল করবো, না দিলেও আমি দল করবো। আমি পদ পদবির ওপর বিশ্বাস করি না। আমি কাজের ওপর বিশ্বাস করি। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী যোগ্য ব্যক্তিকেই দলের দায়িত্ব দিবেন। বিশেষ করে বর্তমানে যে দলের অবস্থা এখন সবাই আওয়ামী লীগ করে সব দলের লোকই এখন আওয়ামী লীগে ভিড় জমাচ্ছে। এই অতিথি পাখি, হাইব্রিড, কালো টাকার মালিকরা আওয়ামী লীগে আসার একটা সুযোগ নিচ্ছে। এই রাহুগ্রাস থেকে দলকে বাঁচাতে হবে একটা সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ দরকার। এটাই আমার কাম্য।
  
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ছাড়াও এ পদে পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট  মির্জা সারওয়ার হোসেন, আবু সারোয়ার বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পঞ্চগড় জেলা আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পৌরসভার কাউন্সিলর মো. সফিকুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তার নাম শোনা যাচ্ছে। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমাদের মাঝে প্রতিযোগিতা রয়েছে কিন্তু কোন প্রতিহিংসা নেই। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে সম্মেলনকে সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি। সম্মেলনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২০৪ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা কমিটি কিভাবে গঠন করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কমিটি ভোটের মাধ্যমে হবে না সমঝোতার ভিত্তিতে হবে তা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত জানাবেন। 

জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি জানান, আগামী দিনের যে চ্যালেঞ্জ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এজন্য একটি শক্তিশালী সংগঠন প্রয়োজন। পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

বিভি/এমএইচ/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2