শুকনা মরিচে জলঢাকার চাষিদের রঙিন স্বপ্ন

শুকনা মরিচে স্বপ্ন দেখছেন জলঢাকার চাষিরা। এখন পরিবারের সদস্যরা মিলে ক্ষেত থেকে মরিচ সংগ্রহ করে শুকিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। উঠোন থেকে শুরু করে জমি, খোলা মাঠ, খোলা স্থানে যে যেখানে পারছেন মরিচ শুকিয়ে হাটে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভাল ফলন হওয়ার কারণে মরিচ চাষির উঠান এখন লাল মরিচে রঙিন হয়ে আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলন পেতে যাচ্ছেন মরিচ চাষিরা।
উপজেলার মরিচের ক্ষেতগুলোতে এখন পাকা লাল মরিচ শোভা পাচ্ছে। উপজেলার বুড়ীতিস্তা নদীর অববাহিকায়, নদী তীর ঘেষে ও চরে সর্বাপেক্ষা বেশি মরিচের চাষ হয়েছে। এসব এলাকার কৃষকরা জমিতে দেশি মরিচের বীজ বপন করে এবং হাইব্রিড মরিচের চারা রোপণ করেছেন। দেশি এবং হাইব্রিড মরিচের গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে লাল মরিচ। কোন কোনও মরিচের জমি হতে লাল মরিচ তোলা হচ্ছে। তোলার পর সেগুলো কৃষকের উঠানে শুকাতে দেয়া হয়েছে।
উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ঘাটের পাড় মমিনুরের ডাঙ্গা এলাকার মামুন মিয়া জানান, ‘প্রতিবছর মরিচের আবাদ করা হয়। এ বছর ২ বিঘা জমিতে মরিচ করা হয়েছে। এর মাঝে ১ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচ করা হয়েছে। হাইব্রিড মরিচ বেশ কয়েকবার কাঁচা বিক্রি করা হয়েছে। দামও মোটামুটি ভাল পাওয়া গেছে। বেশ ভাল লাভ হয়েছে। দেশি মরিচের গাছের মরিচ এখন পেকে যাচ্ছে। মরিচ শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করে এবার লাভ পাওয়া যাবে।‘
গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুরের কৃষক সায়েদুল জানান, ‘জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। কয়েকদিন আগে মরিচের দাম কম ছিল। এখন মোটামুটি ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে।সায়েদুল জানান, প্রায় ১ বিঘা জমিতে তিনি মরিচের আবাদ করেছেন। পাকা মরিচগুলো জমি হতে তুলে তিনি উঠানে শুকাতে দিয়েছেন।’
জানা যায়, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জলঢাকায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো পেয়ে বেশ খুশি চাষিরা। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
পাইকারি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন আগে মরিচের দাম ভাল ছিল না। এখন আড়তে এ দাম একটু বাড়ায় মোটামুটি লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে।
জলঢাকা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লেবু মিয়া জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে থাকায় মরিচ মোটামুটি ভাল হয়েছে। শুরুর দিকে কৃষকরা বাম্পার দাম পেয়েছেন। মাঝে একটু দাম কম ছিল। এখন আবার মরিচের ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।’
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: