১৩’শ লিটার তেল মজুত করায় এক লাখ টাকা জরিমানা

মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুতের দায়ে এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জেলা শহরের মানিকগঞ্জ দুধবাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুদ রেখেছেন এবং এসব তেলের বোতল খুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে আসছিলেন-এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ দুধবাজারে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে, কালীপদ অ্যান্ড সন্স নামের তীর কোম্পানির তেলের গুদামে পাঁচ লিটার ও দুই লিটারের বোতলে ১ হাজার ৩০০ লিটার তেল পাওয়া যায়। এই গুদামে পাওয়া এসব বোতলজাত তেল গত রমজান মাসে মজুত করে রাখা হয়েছে। সে সময়ে পাঁচ লিটার এক বোতল সয়াবিনের মূল্য ৭৯৫ টাকা। তবে বর্তমানে তেলে দাম বাড়ায় প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিনের মুল্য ৯৯০ টাকা। বোতলের গায়ে পূর্বের মূল্য লেখা থাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি না করে খুলে বিক্রি করা হয়। এতে প্রতি লিটার তেলে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করা হচ্ছিল। গুদামে অবৈধভাবে এসব সয়াবিন তেল মজুত করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী নিরঞ্জন বণিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান রুমেল আরও বলেন, ‘ অবৈধভাবে মজুত করা তেল ক্রেতাদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, ‘কেউ যাতে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি না- সে ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছে। তেলের অবৈধ মজুতকারী যেই হোক, কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং জনস্বার্থে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানে জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এবিএম সামছুন্নবী তুলিপ এবং সদর থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
বিভি/এএইচ/এইচএস
মন্তব্য করুন: