ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে উজ্জীবিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ
এক দশক পর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে উজ্জীবিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ। সোমবার (৩০ মে) মহানগরীর দি কিং অব চিটাগাং-এ সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে কী বার্তা দেবে যুবলীগ, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা । যুব রাজনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে মেধাবী, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদেরকেই নেতৃত্বে দেখতে চান সবাই। এদিকে পদপ্রত্যাশী নেতা–কর্মীরা যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর কারণে ঢাকা পড়েছে মহানগরীর সৌন্দর্য।
২০১৩ সালে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটি করা হয়েছিল তিন মাসের জন্য। কিন্তু এরপর নয় বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। প্রায় এক দশক পর ৩০ মে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি কনভেনশন হলে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করছে যুবলীগ। একে ঘিরে চট্টগ্রাম ছেয়ে গেছে ডিজিটাল, ব্যানার, পেস্টুন আর তোরণে।
আরও পড়ুন:
- নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতা ইসি একা কেন? দায় সবাইকেই নিতে হবে
- ফেসবুকে আজহারীর পক্ষে পোস্ট দিয়ে পদ হারালেন ছাত্রলীগ সভাপতি
সম্মেলন নিয়ে এমন উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা দেখা যায়নি অতীতে। সড়কদ্বীপ, সড়ক বিভাজক, সড়কের দুই পাশ, বহুতল ভবন, ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ব্যানার লাগিয়েছেন যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা–কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে আইন মানার প্রয়োজন মনে করেননি কেউই। যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর কারণে ঢাকা পড়েছে মহানগরীর সৌন্দর্য । সব মিলিয়ে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগে ইতিবাচক পরিবর্তনে এবার নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী অনেকে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ৩৫ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদ চান ৭৩ জন। অন্য পদগুলোর জন্য প্রার্থী আরও এক হাজার। নেতাদের প্রত্যাশা, দুঃসময়ে যারা মাঠে ছিলেন তারাই আসুক নেতৃত্বে।
অতীতে চট্টগ্রামে যুবলীগে পদ পেতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুসারীরাই। সংশ্লিস্টরা মনে করছেন, এবার সেই ধারা হয়তো আর থাকছেনা। তাই সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনার মাত্রাও একটু বেশি।
বিভি/রিসি




মন্তব্য করুন: