• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ১৫ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৫ জুন) সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলায় মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে উজানে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৯৭ মিলিমিটার। যে কারণে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে সুনামগঞ্জে। এতে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছে।

সুনামগঞ্জের ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক ও সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। ফলে ছাতক ও তাহিরপুর উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জেলার তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা, আনোয়ারপুর, বালিজুরীসহ আরও কয়েকটি স্থান প্লাবিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ আছে। বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক ও সুনামগঞ্জ-সাচনা সড়কের কয়েকটি স্থান প্লাবিত হয়েছে। এই দুই সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ছাতক শহর থেকে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে সিলেটে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বুধবার সকালে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে সুরমা নদীর তীর উপচে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর, কাজীর পয়েন্ট, উকিলপাড়া, নবীননগর, মধ্যবাজার, সাহেববাড়ী, বড়পাড়া, কালীপুর, জলিলপুর, হাসনবসত, সুলতানপুর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।

ছাতক উপজেলায় ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০টি পরিবারের ৩০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এবার গত ১৩ মে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে প্রথম দফা বন্যা দেখা দেয়। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এখন আবার দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় মানুষজন বিপাকে পড়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সহায়তার জন্য ২৪৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় দেওয়া হয়েছে ২০ মেট্রিক টন করে। চারটি পৌরসভায় দেওয়া হয়েছে ২৫ মেট্রিক টন। এগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পানি বাড়ছে। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2