• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নেত্রকোনায় এখনও লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ২৫ জুন ২০২২

আপডেট: ১৬:১০, ২৫ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
নেত্রকোনায় এখনও লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় বন্যার পানি কমেছে। এর মধ্যে কিছু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে ফিরেছে। কিন্তু ৩৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও ১ লাখ ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে।

নেত্রকোনায় বন্যায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি এখনও নামেনি। এছাড়া ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব পরিবারের। যে কারণে তারা বাড়িতে ফিরতে পারছে না। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলায়। পাঁচটি উপজেলায় এলাকায় এখনও পানিবন্দী তিন লক্ষাধিক মানুষ। সরকারি হিসাবে দেখানো হয়েছে, কলমাকান্দার ৮টি ইউনিয়নে ৫৮ হাজার ৫০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ৩৭৬ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপজেলায় জনসংখ্যা ৩ লাখের বেশি। ৩৪৩টি গ্রামেই বন্যার পানি আসে। এতে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সীমান্তবর্তী লেংগুরা, খারনৈ, রংছাতি এবং হাওরাঞ্চল বড়খাপন ইউনিয়নে।

১৬ জুন রাতে কলমাকান্দায় হঠাৎ পাহাড়ি ঢল নামে। এতে সব কটি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। পরদিন সকালে বসতঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘরের ভেতর কোমরসমান পানি ঢুকে পড়ে। তখন মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়।

পোগলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, লেংগুরা ইউপির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ও কৈলাটি ইউপির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, বন্যায় সরকারিভাবে যে ত্রাণসহায়তা পাওয়া গেছে, তা খুব অপ্রতুল। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক পরিবার বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরকারিভাবে চার ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ত্রাণসামগ্রী পাওয়া গেছে। যারা ঘরবাড়ি ভেঙে নিঃস্ব হয়েছে, তাদের সরকারিভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবি জানান তাঁরা।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, বন্যার পানি কমছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ বসতবাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। তবে এখনও ছয় হাজারের মতো মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণের কোনো সমস্যা নেই, পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। বন্যার পানিতে যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ৫৯৩ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৩৩ লাখ টাকা ও ৬ হাজার ৮৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে এখনও এক লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। এখনও উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে ও ধনু নদের খালিয়াজুরি পয়েন্টেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2