• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লায় এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান মুখোমুখি, অবরোধ-বিক্ষোভ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ৩ জুলাই ২০২২

আপডেট: ২০:১২, ৩ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
কুমিল্লায় এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান মুখোমুখি, অবরোধ-বিক্ষোভ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে বরকামতা ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে কমিটি ঘোষণা নিয়ে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে তুলকালাম শুরু হয়। 

এ সময় স্থানীয় এমপিসহ জেলার নেতারা প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

আরও পড়ুন:

 

স্থানীয় এমপিকে অবরুদ্ধ করার সময় নেতা-কর্মীরা ‘দেবীদ্বার চান্দিনা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে রাত সাড়ে ১০টায় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে অবরোধকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।

শনিবার (৩ জুলাই) উপজেলার নবিয়াবাদ কুমিল্লা মডেল কলেজ মাঠে আয়োজিত দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

ঘটনার সময় বিক্ষোভকারীরা “নৌকার দালালেরা হুশিয়ার সাবধান- আ’লীগের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান” বলে শ্লোগান দিতে থাকে। তবে এ সময় এমপি রাজীর গ্রুপের নেতৃবৃন্দকে নিরব ভূমিকায় দেখা গেছে।

বিক্ষোভ চলাকালে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাষ্টার  আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি ও মাহববুল আলম হানিফ এমপি’র সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং তাদের হস্তক্ষেপে  সভাপতি পদে মোঃ শাহ আলমকে ও মোঃ রুকুনুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:

এ ব্যাপারে দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুজ্জামান মাষ্টার জানান, আমি এ ব্যাপারে কোনো কমেন্টস করতে পারব না। আমাকে প্রশ্ন করলেও লাভ নেই, কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।

স্থানীয় সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্মেলনে প্রার্থীদের মধ্যে সমোঝোতা না হওয়ায় কাউন্সিলররা ভোট চেয়েছিল। তখন এমপি সাহেব জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাবৃন্দদের বলেন ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটি ঘোষণা করবেন। 

অতঃপর নেতৃবৃন্দরা রুদ্ধদ্বার কক্ষে সভাপতি পদে শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে রোকনুজ্জামানকে মনোনীত করেন। তারপর কমিটি ঘোষণা না দিয়ে এমপি চলে যেতে চাইলে নেতা-কর্মীরা পথ অবরোধ করে দেয়। সবশেষে জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক কমিটি ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:

জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি শেখ আব্দুল আউয়াল বলেন, সভাপতি পদে ৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় ওদের আলাদাভাবে একক প্রার্থী করতে বৈঠকে বসাই, সমঝোতায় না আসায় আমরা এমপি সাহেব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের ৩ জন সহ-সভাপতি উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে উপজেলা সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জনকে একসাথে নিয়ে বসি। আমরা কাউন্সিলরদের পছন্দ অনুযায়ী সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় এমপি সাহেব কমিটি ঘোষণা দেয়ার পক্ষে না থাকায় এবং ঢাকায় গিয়ে দু’দিন পর কমিটি ঘোষণার কথা বলায় এ উদ্ভট পরিস্থিতি দাড়ায়।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার বলেন- সর্বশেষ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তটি এমপি সাহেবের মাধ্যমে ঘোষণা দিতে বললেও এখানে ঘোষণা না দিয়ে দু’দিন পর ঘোষণা দিতে বলেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কমিটি ঘোষণার দাবীতে এমপি সাহেবের গাড়ি অবরোধ করে রাখলে আমি মিমাংসার চেষ্টা করি। এমপি সাহেবের গাড়িতে নেতাকর্মীরা লাথি মারার ঘটনায় এখানে ঘোষণা দিতে রাজী হননি এমপি রাজী।

আরও পড়ুন:

বিভি/এসএমপি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2