• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তা দেখানোর কথা বলে বন্ধুরা মিলে মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৪ জুলাই ২০২২

আপডেট: ১৪:১৫, ৪ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
রাস্তা দেখানোর কথা বলে বন্ধুরা মিলে মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

পাত্রী দেখার কাজে এসে ফিরতে সন্ধ্যা হয়েছিল। ফেরার পথে রাস্তা চিনতে হঠাৎ সমস্যা হয়। রাস্তায় বসে থাকা কয়েকজন যুবকের কাছে পথ দেখানোর অনুরোধ করেছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের মেম্বার। পথ দেখানোর কথা বলে নির্জন স্থানে নিয়ে বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে ওই নারী মেম্বারকে।

শনিবার (২ জুলাই) রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার (৩ জুলাই) বোয়ালমারী থানায় মামলা করার পর বিষয়টি সামনে আসে। ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন:

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ওই নারী সদস্য আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা (৩৫)। গত শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা নামক স্থানে আসলে তিনি দিক হারিয়ে ফেলেন। সে সময় ওই স্থানে বসে থাকা কয়েকজন যুবককে নারী মেম্বার বলেন- আমি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ যাবো, আমাকে একটু পথ দেখিয়ে দেন। পথ দেখানোর সুযোগে তারা ওই নারী মেম্বারকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী মেম্বার কোনো রকমে ঘটনাস্থল থেকে রাস্তায় এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। 

পরদিন রবিবার (৩ জুলাই) সকালে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন ওই মেম্বার। এরপর দুপুরের দিকে প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুব আলমকে (৩০) আটক করে পুলিশ। মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার দক্ষিণ কামার গ্রাম-রায়পুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। পেশায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার।

মাহাবুব আলম

বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওই নারী মেম্বার বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদেরও আটকের অভিযান চালানো হচ্ছে।

সেই সঙ্গে সেদিন দুপুরে ওই নারী মেম্বারকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নারী মেম্বার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় মহিলা মেম্বার থানায় মামলা করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা সকল আসামিদের আইনের আওতায় আনতে সমর্থ্য হব।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় একটা চক্র আছে যারা এর আগে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে মুখে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। এই চক্রটি এবার ওই নারী সদস্যকে ধর্ষণ করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো।

আরও পড়ুন:

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: