• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

৮০ বছরে এসে বিয়েতে রাজি হলেন বৃদ্ধ জলিল, কনের বয়স ৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১১, ১৩ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৮:৪১, ১৩ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
৮০ বছরে এসে বিয়েতে রাজি হলেন বৃদ্ধ জলিল, কনের বয়স ৩৭

জীবনের দীর্ঘ সময় একাকিত্ব থাকার পর অবশেষে ৮০ বছর বয়সে এসে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জলিল ফরাজী। ঘটকের মাধ্যমে বিয়ের জন্য কনে নির্বাচনও করেছেন তিনি। কনে একই উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন তুলাগাছিয়া গ্রামের ৩৭ বছর বয়স্কা নারী জাহানারা। তাদের বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা হয় দুই লাখ টাকা। 

জলিল ফরাজী পেশায় ইটভাটা শ্রমিক। ১২ বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। সন্তান থাকলেও তারা আলাদা থাকেন। তাই শেষ বয়সে একাকিত্ব দূর করতে নিজের দেখাশোনার জন্য বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে জাহানারা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। কনে জাহানারার আগের স্বামী ও সন্তান মারা গেছেন। তাই তিনিও তার একাকিত্ব দূর করতে জলিল ফরাজীকে বিয়ে করেছেন।

আরও পড়ুন: পূজাকে নিয়ে কথা বলায় খেপলেন শাকিব খান, দিলেন মামলার হুমকি

গতকাল এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতায় দু’জনের পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ প্রবীণের বিয়েকে ঘিরে গ্রামজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব। চরফ্যাশনের আবদুল্লাপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ শিবা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ জলিল ফরাজীর এবিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। 

জানা গেছে, জাহানারার স্বামী তিন বছর আগে মারা গেছেন। আর বৃদ্ধ জলিলে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি থাকলেও কনে জাহানারার একমাত্র মেয়ে মারা গেছে। এ প্রবীণের বিয়ে ঘিরে গ্রামজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব।  

গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জলিল ফরাজী প্রায় এক যুগ ধরে টিনের চৌচালা ঘরে একাই বসবাস করছিলেন। তার ছেলে ও মেয়ের আলাদা সংসার হয়েছে। তারা তেমন খোঁজ-খবর নেন না। ইটভাটায় কাজ করে নিজের খরচ চালান তিনি। তিনি হাসিখুশি মানুষ। এতদিন দ্বিতীয় বিয়ের কথা বললেও তিনি রাজি হননি। নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বৃদ্ধ বয়সে দেখভালের জন্য হঠাৎ বিয়ে করতে রাজি হলেন।

বৃদ্ধ বর জলিল ফরাজী জানান, এক ঘটকের মাধ্যমে জাহানারার সঙ্গে পরিচয় হয়। উভয়ের সম্মতিতে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

কনে জাহানারা জানান, স্বামী ও কন্যা সন্তানের মৃত্যুর পর তিনি খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। একাকীত্ব ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি বিয়েতে রাজি হয়েছেন।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-নোমান বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ না জানালেও ফেইসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া মাতাতে যাচ্ছেন একঝাঁক তারকা 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: