ফেনী
অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন নিজেরাই
ছবি: সংগৃহিত
ফেনীতে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন চার যুবক। বুধবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত যুবকদেরক ফেনী মডেল থানা হেফাজত থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আসামীদের গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ভুক্তভোগীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল (উপশম হাসপাতাল) সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্যতা পাই এবং চার আসমীর ভেতর ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কাউকে থানায় হস্তান্তর করলে আমরা যাচাই বাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে আটক কিংবা অভিযোগ নিয়ে থাকি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর পূর্বের একটি মামলার হাজিরা শেষে ফেনী আদালত থেকে সিএনজি যোগে পাঁচগাছিয়া ফিরছিল ইসমাইল হোসেন (২৪)। পথিমধ্যে শহরের এস.এস.কে রোডস্থ উপশম হাসপাতালের সামনে ৪ যুবক ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক নামিয়ে অন্য একটি সিএনজি করে চৌদ্দগ্রামের আলকরাতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ইসমাইলের বন্ধু মুজাহিদকে ফোন করে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ইসমাইলের বন্ধু তার পরিবারসহ ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আসামীগণ টের পেয়ে ভুক্তভোগীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যা মামলায় জড়িত ছিল মর্মে থানা পুলিশের নিকট তাকে হস্তান্তর করে।
পরে ইসমাইলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামী শহরের বারাহীপুরের বাসিন্দা আবুল বসর'রের ছেলে মোঃ সাকিব (২১), দাগনভূঞা থানার হিজলীগ্রামের বাসিন্দা মোঃ হোসেনের ছেলে মো: ছায়েদ (২৪) এবং বারাহীপুরের আরেক বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে আল আমিন'কে (২৬) গ্রেফতার করা হয় এবং বাকী আরেক আসামী ধর্মপুর ইউনিয়নের বাদশা (২৩) পলাতক রয়েছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: