আলেপের বিরুদ্ধে বন্দির স্ত্রীকে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল
র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক আসামিকে গুম করে বন্দি রাখা অবস্থায় তার স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করার প্রমাণ পেয়েছে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জনৈক বন্দিকে গুম করে তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আলেপ। ভয়াবহভাবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ভুক্তভোগী এর কিছুদিন পরই মৃত্যুবরণ করেন। গুম ও নির্যাতনসহ অমানবিক অপরাধের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। জঘন্য কায়দায় বন্দিদের নির্যাতন, নারীবন্দিসহ গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের নারী সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, আলেপের বিরুদ্ধে নতুন করে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসার কারণে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া সাবেক এসপি মহিউদ্দিন ফারুকীর ব্যাপারে আদালতকে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গুম কমিশনের বেশ কয়েকটি রিপোর্টে তার নাম বারবার এসেছে। অমানুষিক নির্যাতনের মূল হোতা বলা হতো তাকে। এই বিষয়ে অধিকতর ও বিস্তৃত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে সময়ের প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এই দুই র্যাব কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আলেপ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি ও মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, তারেক আব্দুল্লাহ ও ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী।
প্রসিউশনের পৃথক দু’টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মুর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতে এই মামলার শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ নভেম্বর ভোরে রাঙামাটি জেলার কাউখালী এলাকা মহিউদ্দিন ফারুকীকে ও একইদিন রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশ।
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: