খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের শিকার স্কুল শিক্ষার্থী, আটক ৪

খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে (১৪) গণধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই বুধবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
আটককৃত ৪ আসামি হলো- খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের আরমান হোসেন (৩২), মো: সাকিব আলম (২৫), এনায়েত হোসেন (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩২)। মো. মুনির ইসলাম (২৯)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সোহেল ইসলাম (২৩) পলাতক রয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের জিজ্ঞাসায় স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনাটি জানায় এবং এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় অংশ নেওয়ার পর রাতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেই গভীর রাতে ৬ যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তার আত্মীয়কে বেঁধে রেখে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন জানায়, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছু প্রকাশ করেনি। কিন্তু, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ১২ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জ্ঞান ফিরলে ঘটনাটি মেয়েটি পরিবারকে সব কিছু জানায়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ। তাকে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল বলেন, মামলা হওয়ার পরপরই আমরা অভিযুক্ত ৪ গ্রেফতার করেছি। বাকি দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: