জুবায়েদ হত্যা ‘পরিকল্পিত’, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ খুনের ঘটনায় তার ছাত্রীসহ দুই যুবককে শনাক্তের পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বংশাল থানা ও আরমানিটোলার বাসার সামনে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
১৯ অক্টোবর প্রতিদিনের মতো টিউশনি করতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ। খুনিরা আগে থেকে টার্গেট করে তাকে। সুযোগ বুঝে জুবায়েদকে হত্যা করে নিরাপদে পালিয়ে যায় খুনিরা।
পরে আরমানিটোলার নুর বক্স লেন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই বাসাটিকে ঘিরে রাখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।
বংশাল থানার সামনে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। খুনিদের ধরতে দেয় আল্টিমেটাম। জুবায়েদের খুনিদের আটক ও বিচার দাবি করেন তার স্বজনেরা। হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম।
এছাড়াও, ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম। খুনের রহস্য উদঘাটনে নিহত জুবায়েদের ছাত্রীকে সপরিবারের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এর আগে, শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডে টিউশনি করতে গিয়ে এক বাসার নিচে ছুরিকাঘাতের শিকার হন জোবায়েদ। আহত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনি তিনতলায় পড়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: