• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪

ঢাকায় ১৫ খুনেও আইনশৃঙ্খলার অবনতি পায়নি পুলিশ

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২৮ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঢাকায় ১৫ খুনেও আইনশৃঙ্খলার অবনতি পায়নি পুলিশ

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা এবং এক ছাত্রীকে গুলি করে হত্যাসহ পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ মিলিয়ে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ছিনতাইকারীদের হাতে ছয় পুলিশ সদস্য জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত সাতদিনে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে। এই তথ্যগুলো পুলিশই সাংবাদিকদের অবগত করেছে।

২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। তাঁর গাড়িচালক মুন্না এসময় গুলিবিদ্ধ হন। জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিও সেসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান । শনিবার রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসায় দুই শিশুসন্তানের মুখ বেঁধে রেখে তাদের মা মুক্তা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রোববার ভোরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন দন্ত্যচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। এ ছাড়া দুই দিনে গুলিস্তান ও বংশালে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন পুলিশের ছয় সদস্য। 

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে মানুষের আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক নেতারাও এর মধ্যে রয়েছেন। টেন্ডারসহ বিভিন্ন আর্থিক দ্বন্দ্বে বাড়ছে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ। এ ছাড়া আধুনিক সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশিং গড়ে না ওঠায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। 

তবে পুলিশ মনে করছে, রাজধানীতে এতো কম সময়ের মধ্যে গুলি করে, গলা কেটে এবং ছুরিকাঘাতে এতোগুলো হত্যা আইনশৃঙ্খলার অবনতি নয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের ডিসি ওমর ফারুক হোসেন বলেন, ডাকাতি, ছিনতাই কিংবা চুরি বেড়ে গেলেই কেবল আইনশৃঙ্খলার অবনতি বলা যেতে পারে। অপরাধের মাত্রা কখনো বাড়ে, আবার কখনো কমে। আশা করা যাচ্ছে, সবকিছু শান্ত হয়ে যাবে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবকিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।’ 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত পুলিশিং প্রয়োজন, যা এখনো হয়নি। চলছে গৎবাঁধা পুলিশিং। পুলিশ ট্র্যাডিশনাল দায়িত্বের বাইরে অন্য কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। তারা এটাকে মানসিক ও রাজনৈতিক চাপ মনে করে। যার কারণে একটি মনোভাব তৈরি হয়েছে।

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন: